বোলপুরে : দক্ষিণবঙ্গে একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি। জলের তলায় বাড়িঘর, চাষের জমি। ক্ষতিগ্রস্ত বহু মানুষ। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বীরভূমের (Flood Situation in Birbhum) প্রশাসনিক বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন বোলপুরে ডিভিসিকে কড়া আক্রমণ করলেন মমতা। মমতা বলেন, প্রতিবছর জল ছাড়ার ফলে ম্যান মেড বন্যা হয়। ড্রেসিং করে না বছরের পর বছর। পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির জলে বন্যা হয় না। ডিভিসির অতিরিক্ত জল ছাড়ার ফলে ভাসছে বাংলা। ডিভিসি জল ছেড়ে মানুষ মারছে। বন্যায় ২৮ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। মৃতের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: আরজি করের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে কংগ্রেস-বিজেপিকে অনুমতি আদালতের
বীরভূমের একাধিক এলাকায় এই মুহূর্তে বন্যা পরিস্থিতি। লাভপুর, সাঁইথিয়া, রামপুরহাট-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল এখনও জলমগ্ন। মঙ্গলবার বীরভূমের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী। নানা জায়গা পরিদর্শন করেন। প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে দুপুরে বৈঠক করেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গ্রামীণ রাস্তায় গ্রামীণ অঞ্চলের রাস্তা যা ভেঙে গিয়েছে, বিধায়কদের নির্দেশ দিয়েছে, রাস্তা সারাইয়ের জন্য বরাদ্দ টাকা সম্পূর্ণটাই খরচ বিধায়ক তহবিল থেকে করা হবে। এমপি খাতের এক কোটি টাকা স্কুল মেরামতি, আর চার কোটি টাকা রাস্তা মেরামতিতে খরচ হবে। বন্যার জেরে প্রচুর বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। ১১ লক্ষ টাকা ডিসেম্বরে দেওয়া হবে। তিন বছর কেন্দ্র গ্রামীণ আবাসের কোনও টাকা দেয়নি। তাছাড়াও ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা পাই। প্রতি বছর ডিভিসি জল ছাড়ায় বাংলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। বন্যায় যে বাড়িগুলো সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত, ভেঙে গিয়েছে, আমার ১১ লক্ষ বাড়ি দেওয়ার তালিকার মধ্যে সেই বাড়িগুলো রয়েছে কিনা, দেখে নিতে বলেছি। ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া যাঁদের ফসল বন্যায় নষ্ট হয়েছে তাঁদেরও শস্যবিমার আওতায় এনে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।
অন্য খবর দেখুন