নয়াদিল্লি: রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ও অখিলেশ যাদবের (Akhilesh Yadav) যুগলবন্দী কি চিন্তায় রেখেছে বিজেপিকে? সংসদে বিজেপিকে কড়া আক্রমণ শানাচ্ছেন এই দুই তরুণ নেতা। যেভাবে জাতীয় রাজনীতিতে এই দুই নেতার বক্তব্যে নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে বিজেপিকে তাতে এই প্রশ্ন উঠছে। লোকসভা নির্বাচনে এই দুই নেতার সাফল্যের পর থেকে জাতীয় রাজনীতিতে তাঁদের সক্রিয়তা চোখে পড়ার মতো। অখিলেশের সমাজবাদী পার্টি ও রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস জোট বেঁধে উত্তরপ্রদেশে মাত্র ৩৩টি আসনে আটকে দিয়েছে বিজেপিকে। এরকম ভরাডুবি হতে পারে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে ভাবতে পারেনি বিজেপি। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় কেন্দ্রে শরিকদের উপর নির্ভর করে সরকার চালাতে হচ্ছে বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদিকে। সেই সময় দেখা যাচ্ছে সংসদে ও তার বাইরে উত্তরপ্রদেশের এই দুই সাংসদের কড়া আক্রমণে চাপে পড়তে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। রাজনৈতিক মহলে চর্চা হচ্ছে ২০২৭ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভাকে টার্গেট করে কোমর বেঁধে নামছে রাহুল-অখিলেশ।
কখনও জাতি গণনা, কখনও সাধারণ মানুষের দৈন্দিন জীবনের সঙ্গে জড়িত বিষয় নিয়ে আওয়াজ তুলছেন রাহুল-অখিলেশ। দেখা গিয়েছে পাল্টা জবাব দিতে রাহুলকে বিজেপি আক্রমণ করলে তার জবাব দিচ্ছেন অখিলেশ। এরকমভাবেই বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর রাহুলকে আক্রমণ করায় তার কড়া জবাব দিয়েছেন অখিলেশ। ভারতের সব চেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশে এখন বিজেপির অবস্থা ভালো নয়। লোকসভায় বিপর্যয়ের দায় কার তা নিয়ে কেশবপ্রসাদ মৌর্য ও যোগী আদিত্যনাথের গোষ্ঠীর মধ্যে চাপানউতোর চলছে। রামমন্দির তৈরির পরও এবার ফৈজাবাদে হেরে গিয়েছে বিজেপি। ২০১৪ সালে যেখানে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি ৭১ আসন পেয়েছিল, ২০১৯ সালে তা কমে হয় ৬২, এবার আরও কমে ৩৩ হয়েছে। ফলে উত্তরপ্রদেশে জমি হারাচ্ছে বিজেপি। তারই মধ্যে ইন্ডিয়া জোট তথা সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেসের জোট চাঙ্গা করছে বিরোধীদের।
আরও পড়ুন: এবার ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ ?
আরও খবর দেখুন