বাঁকুড়া: জমে উঠেছে বাঁকুড়া জেলার তালডাংরা বিধানসভার উপনির্বাচনী প্রচার। আর এবার প্রচারের ময়দানে বিস্ফোরক মন্তব্যের জেরে বিতর্কে জড়াল শাসক ও বিরোধী, উভয় শিবির। আকারে ইঙ্গিতে সাধারণ মানুষকে হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার কথা বললেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালডাংরায় সুকান্ত মজুমদারের উপস্থিতিতে এক নির্বাচনী সভায় বিধায়ক দানা বলেন, “দু’বেলা খেয়ে একবেলা খাবারের টাকা মজুত করে একটা একটা করে যন্ত্র কিনে রাখতে হবে। কি যন্ত্র বলছি আপনারা সেটা নিশ্চই বুঝে গেছেন। এরপর এই দস্যু রাণীর কোনও কর্মী কিংবা হার্মাদ যদি আপনার উপর দৃষ্টিপাত করে, তাহলে সেই চোখ তুলে ফেলতে হবে।” এখানেই থেমে থাকেননি বিজেপি বিধায়ক, এই বক্তব্য যে দলীয়ভাবে ঘোষণা করা হচ্ছে সেকথাও স্পষ্ট করেন তিনি।
আরও পড়ুন: অনুব্রত গড়ে গোষ্ঠী-কোন্দল! নাম না করে কেষ্ট’কে নিশানা কাজল শেখের
এদিকে এদিনের সভামঞ্চে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এবারের ভোটে লড়াই তৃণমূলের সাথে না, লড়াইটা হচ্ছে পুলিশের সাথে। পুলিশ সরে গেলে মাত্র ১৫ মিনিট সময়ও তৃণমূল নামে কোন রাজনৈতিক দল থাকবেনা।” এর পাশাপাশি তিনি পুলিশকে হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন, “মনে রাখবেন চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়। তাই দালালি ছাড়ুন, প্রয়োজনে খাঁকি উর্দি ছেড়ে রাস্তায় নেমে রাজনীতি করুন। কতো দম আছে দেখে নেব। তৃণমূলের দালালি করতে হলে পোশাক থেকে অশোক স্তম্ভ খুলে হাওয়াই চটি লাগান।”
অন্যদিকে, তালডাংরার বিবড়দায় তৃণমূল প্রার্থী ফাল্গুনী সিংহবাবুর সমর্থনে একটি নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ অরুপ চক্রবর্ত্তী দাবি করেন, “গত ৫ তারিখ রাত ৮ টায় বাঁকুড়া সার্কিট হাউসে নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাঁরা তৃণমূলের ঝাণ্ডা খুলে দেবেন! মনে রাখবেন, এটা করলে ১৩ তারিখ তালডাংরার মানুষ আপনাদের কলিজা খুলে দেবেন।”
দেখুন অন্য খবর: