রায়গঞ্জ: নজীরবিহীন কান্ড ঘটালেন রায়গঞ্জ পুরসভার (Royganj Paurashava) বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী বেবি মণ্ডল (BJP worker Baby Mondal)। ভোট দিয়ে মোবাইলে ছবি তুলেন বেবি মণ্ডল। তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেও তার প্রতি তৃণমূল কর্মীরা সন্দিহান ছিলেন। বুথের পাশে বসেছিলেন রায়গঞ্জ পুরসভার উপ প্রশাসক অরিন্দম সরকার। অরিন্দম সরকারকে ভোট দেওয়ার ছবি দেখান, যা নজীরবিহীন ঘটনা। এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, যে যেখানে ভোট কেন্দ্র মোবাইল নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ সেখানে কিভাবে ভোটার মোবাইল নিয়ে ভোট কেন্দ্রে পৌছে গেলেন? কমিশনের আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার চাদর ভেদ করে নিরাপত্তা কর্মীদের নজর এড়িয়ে কী ভাবে তিনি বুথে ঢুকলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন: ক্লাস চলাকালীন স্কুলে ধস, মাটির তলায় ৪ পড়ুয়া
বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী বেবি মণ্ডলের দাবি, তিনি স্বেচ্ছায় ভোট দেওয়ার ছবি তুলেছেন। কেউ তাকে ছবি তোলার জন্য চাপ সৃষ্টি করেননি৷ বুথে মোবাইল নিয়ে যেতেও কেউ তাকে বাধা দেয়নি বলেই তিনি মোবাইল নিয়ে বুথ পর্যন্ত পৌছাতে পেরেছেন। তিনি একসময় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ছিলেন। দলের সঙ্গে তার মত পার্থক্য সৃষ্টি হওয়ায় তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী বড় ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। বিজেপিকে দুর্বল করতে পারলেই ব্যবধান কমতে পারে বলে তৃণমূল কর্মীরা মনে করছেন। সেই ভাবনা থেকে বেবি মত কর্মীদের তৃণমূল যোগদান করায়। বেবি তৃণমূলে যোগ দিলেও তিনি সন্দেহের তালিকার মধ্যেই আছেন। সেই কারণেই বেবি নিজেকে তৃণমূল কংগ্রেসের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতেই মোবাইলে ছবি তোলা। বেবি ছবি তোলার দায় তার উপর ঠেলে নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অরিন্দম সরকার। অরিন্দম সরকারের দাবি তিনি অতি উৎসাহে এই কাজ করেছেন কিভাবে তিনি মোবাইল নিয়ে বুথে প্রবেশ করলেন এর দায় তিনি নেবেন না।তার জন্য রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা দায়িত্বে আছেন।
অন্য খবর দেখুন