বর্ধমান:বোলপুরে (Bolpur Incident) বাড়িতে আগুনে পুড়ে আগে মৃত্যু হয়েছিল মা ও চার বছরের শিশুর। শনিবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Burdwan Medical College and Hospital) মৃত্যু হল অগ্নিদগ্ধ বাবার। তের নাম আব্দুল আলিম। ৩৮ বছরের ওই যুবককে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ভর্তি করানো হয়েছিল হাসপাতালে। শনিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বোলপুর থানার রায়পুর সুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গীত গ্রামের একই পরিবারের তিন জন প্রাণ হারালেন। এই ঘটনার নেপথ্যে পরকীয়া সম্পর্ক,এমনটাই পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। অভিযোগ বৌদির সঙ্গে এক হাতুড়ে ডাক্তারের সম্পর্ক জেনে যায় দেওর আব্দুল আলিম। এই বিষয়কে চাপা দিতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে এক জনকে আটক করেছে পুলিশ। এক হাতুড়ে ডাক্তারের খোঁজ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।
বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়াদাওয়ার পর ছোট ছেলেকে নিয়ে দম্পতি ঘুমিয়ে পড়েন। খোলা ছিল জানলা। পরিবারের অভিযোগ, কেউ বা কারা জানালা দিয়ে কোন প্রকার গ্যাস প্রয়োগ করে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে জ্বলতে থাকে মা-বাবা ও শিশুটি। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা কোনরকম তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে বোলপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তিনজনকেই বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। সেইমতো বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পথেই ক্যারিমা খাতুন ও আয়ান আক্তারের মৃত্যু হয়। আশঙ্কজনক অবস্থায় বর্ধনের এক নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় আব্দুল আলিমকে। শনিবার সকালে বর্ধমান দু’নম্বর ব্লকের এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আব্দুল আলিম। শত্রুতার জেরে এ ধরনের ঘটনা বলে জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: জমি কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার বিজেপি নেতা
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মৃত আব্দুলের মেজো ভাইয়ের স্ত্রী স্মৃতি বিবির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান ওই গ্রামেরই হাতুড়ে ডাক্তার চন্দন শেখ। তুতা সেই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। সেখান থেকেই তাঁদের হত্যার ছক করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ ইতিমধ্যে স্মৃতিকে আটক আটক করছে। যদিও ওই হাতুড়ে ডাক্তারের খোঁজ মিলছে না। ডাক্তারের খোঁজ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।
দেখুন ভিডিও