পূর্ব বর্ধমান: রাজ্যের দিকে দিকে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা সামনে আসে। আর এবার কেতুগ্রামের চেঁচুড়িয়া গ্রামে বোমা বিস্ফোরণে উড়ল বাড়ির শৌচালয়ের ছাদ। ঘটনাটি ঘটে শনিবার সন্ধ্যায়। আর এই ঘটনার পরেই এলাকা জুড়ে ছড়ায় চাঞ্চল্য। তড়িঘড়ি তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এই ঘটনা ঘটেছে মজুত বোমা থেকেই।
বোমা ফেটেই যে বিস্ফোরণ ঘটে তা স্পষ্ট। কারণ বোমা ফাটার শব্দ পান স্থানীয় বাসিন্দারাও। অতঙ্কিত হয়ে পরেন বাসিন্দারা। তবে ঘটনায় হতাহতের কোন খবর নেই।
আরও পড়ুন: কাল সোমবার শুরু বিধানসভার বাজেট অধিবেশন
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। কেতুগ্রাম -১ ব্লকের আনখোনা অঞ্চলের চেঁচুড়ি গ্রামের বাসিন্দা মেহেবুব আলমের বাড়িতেই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের দাবি, তাঁর পুরানো বাড়িতে করা ছিল বোমা মজুত। মেহেবুব আলমরা দু’ ভাই৷ তাঁরা বাড়িতে কেউ থাকেন না৷ কর্মসূত্রে মেহেবুব আলম কলকাতায় থাকেন৷ তবে ফাঁকা বাড়িতে কারা বোমা মজুত করে রাখল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের আগের রাতেই কেতুগ্রামের চেঁচুড়িতে বোমা মেরে ও কুপিয়ে নৃশংস ভাবে খুন হন তৃণমূলের তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে মিন্টু শেখ৷ ঘটনায় জখম হয়েছিলেন মিশির শেখ ওরফে নজরুল ইসলাম। সেদিন চেঁচুড়ি গ্রামের বাসিন্দা বুথ সভাপতি মিন্টু শেখ তাঁর এক সঙ্গী তৃণমূল কর্মী মিশির শেখকে বাইকে চাপিয়ে ফিরছিলেন৷ তিনি পাশের সুবিপুর গ্রাম থেকে দলীয় কাজ সেরে ফিরছিলেন৷ রাস্তায় আসার পথেই চেঁচুড়ি গ্রামের মাঠের রাস্তায় তাঁদের বাইক আটকে দাঁড়ায় কয়েকজন। অভিযোগ, এরপরেই মিন্টু শেখকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়৷ তারপর তাঁকে বোমা মারা হয়৷ ঘটনায় বোমের শব্দ পেয়ে গ্রাম থেকে সবাই ছুটে আসেন। এরপরেই মিন্টু শেখ অকুস্থলেই মারা যান। আর মিশির শেখকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন৷ মৃতের স্ত্রী তুহিনা খাতুন ঘটনায় ১০ জনের নামে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন৷ তবে এদিনের বিস্ফোরনেট ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
দেখুন অন্য খবর