নয়াদিল্লি: আজ সেই ১০ নভেম্বর। কারণ আজ রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে ডিওয়াই চন্দ্রচুড়ের(DY Chandrachud) কর্মজীবনের শেষ দিন। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না (Sanjib Khanna), যিনি ১১ নভেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
রবিবার চন্দ্রচূড়ের কলমের অধীনে তাঁর শীর্ষ আদালতের শেষ রায় ছিল বুলডোজার জাস্টিস অগ্রহণযোগ্য (Bulldozer Justice unacceptable) । তীব্র বিরোধিতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, যেখানে রাজ্য সরকার এবং তাদের বিভাগগুলি অপরাধে জড়িত বা নামযুক্ত ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি ধবংসের হুমকি দিয়ে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। যা মেনে নেওয়া যায় না।
এইভাবে নাগরিকদের কন্ঠস্বর থামানো যাবে না। উত্তরপ্রদেশের এক সাংবাদিকের পৈতৃক বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার মামলাই ছিল প্রধান বিচারপতি হিসাবে ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের শেষ শুনানি। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘বুলডোজারের মাধ্যমে ন্যায়বিচার কোনও সভ্য দেশের বিচারব্যবস্থায় জানা নেই।
আরও পড়ুন: বর্ডারে ড্রোনের উপদ্রব! চিন, পাকিস্তানের নতুন চাল, বলছে বিএসএফ
যদি কোনও রাজ্যের সরকারি আধিকারিক বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই ধরনের অনৈতিক ও বেআইনি কার্যকলাপের অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে মানতে হবে তদন্ত অতি ভয়াবহ একটি বিষয়। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় আরও বলেন,‘সম্পত্তি এবং আবাস ধ্বংস করার হুমকি দিয়ে নাগরিকদের কণ্ঠস্বর বন্ধ করা যাবে না। আবাসের নিরাপত্তা জনতার মৌলিক অধিকার। রাজ্য বাধ্য এই নিয়ম মানতে। কোনও বেআইনি নির্মাণ কিংবা জমি দখলের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনেই চলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ৮ নভেম্বর ছিল ডিওয়াই চন্দ্রচুড়ের কর্মজীবনের শেষদিন। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বিদায়ী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল বার অ্যাসোসিয়েশন। সেই অনুষ্ঠানে আইনজীবীদের পাশাপাশি অন্য বিচারপতিরাও উপস্থিত ছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করার সময় প্রধান বিচারপতি তাঁর সকল সহকর্মী এবং বার আসোসিয়েশনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
শুক্রবার বিদায়ী ভাষণে তিনি মজা করে বলেছিলেন, দেশের মধ্যে বিচারপতিদের মধ্যে আমাকেই সবচেয়ে বেশি কটাক্ষের স্বীকার হতে হয়েছে। কাল থেকে তাঁদের আর কোনও কাজ থাকবে না। আনুষ্ঠানিকভাবে পদ থেকে পদত্যাগ করার আগে রবিবার ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় রবিবার সুপ্রিম কোর্টে তার শেষ রায় প্রদান করলেন।
দেখুন অন্য খবর: