মুম্বই: নিউজিল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশের পর ভারতের সামনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, এই সিরিজ শুরুর আগে আইসিসি-র তৈরি WTC তালিকার শীর্ষস্থানে ছিল ভারতীয় দল। কিন্তু এই সিরিজে একের পর এক তিনটি টেস্ট হারার পরেই সেই সিংহাসন হাতছাড়া হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ভারতের থেকে শীর্ষস্থান ছিনিয়ে নিয়েছে। সেই কারণে এখনও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের রাস্তা সাফ হয়নি রোহিতদের সামনে। উল্টে, আরও বেশি জটিল হয়ে উঠেছে এই সমীকরণ।
আরও পড়ুন: রোহিত-কোহলির ব্যর্থতায় ২৪ বছর পর লজ্জার নজির ভারতের
মুম্বই টেস্টের শেষ ইনিংসে ভারতের সামনে ১৪৭ রানের টার্গেট দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল মাত্র ১২১ রানে অলআউট হয়ে যায়। এই হারের পর ভারত ১৪ ম্যাচ খেলে ৫৮.৩৩ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে নেমে এসেছে। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া ৬২.৫০ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম স্থান দখল করে নিয়েছে। এদিকে আবার শ্রীলঙ্কা ৫৫.৫৬ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ভারতের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। যদিও, কিউয়িদের বিরুদ্ধে এই সিরিজ শুরুর আগে ভারতীয় দল ফাইনালে যাওয়ার প্রবল দাবিদার ছিল। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের কাছে এই ‘হোয়াইটওয়াশ’ টিম ইন্ডিয়ার ফাইনালে পৌঁছানোর সম্ভাবনাকে বেশ ঝুঁকিতে ফেলেছে।
এখন প্রশ্ন হল, ভারত কোন উপায়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে কোয়ালিফাই করতে পারবে? এক্ষেত্রে, ভারতের কাছে উল্লেখযোগ্য হতে চলেছে আসন্ন বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি। এটিই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চক্রে ভারতের শেষ সিরিজ। তাই খেতাবি লড়াইয়ের ফাইনালে পৌঁছাতে হলে টিম ইন্ডিয়াকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের মধ্যে কমপক্ষে চারটি ম্যাচ জিততে হবে। যদি ভারত চারটি ম্যাচ না জিততে পারে, তাহলে সেক্ষেত্রে অন্য দলের পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করতে হবে। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার পারফরম্যান্স এখানে গুরুত্বপূর্ণ হবে। কারণ এই চক্রে শ্রীলঙ্কাকে অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলতে হবে। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকাও এই দৌড়ে রয়েছে। তাঁরাও ঘরের মাঠে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলবে। তবে, আসন্ন সিরিজের চারটি ম্যাচ জিতলে ভারতকে আর এইসব সমীকরণ নিয়ে ভাবতে হবেনা।
দেখুন অন্য খবর: