এগরা: পুরসভার প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ারের (Egras Municipal Engineer) বাড়ি থেকে নগদ সাত কোটি টাকা উদ্ধার। পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ইঞ্জিনিয়ার চন্দন দাসের বাড়িতে ২৫ ঘন্টা ধরে অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চের অভিযান। যদিও সরকারিভাবে আপাতত বিষয়টি নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে এখনও পর্যন্ত দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিক রা কোনও তথ্য দিতে রাজি নন। তবে কি কারণে দুর্নীতি দমন শাখার তল্লাশি চালিয়েছে তা জানা যায়নি। তবে এখনও তল্লাশি জারি রয়েছে। আর এমন একটা সময় সেই ঘটনা ঘটেছে, যখন দিঘায় আছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখান থেকে এগরার দূরত্ব মেরেকেটে ৪০ কিলোমিটার।
এগরা পুরসভার প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখা। মঙ্গলবার দুপুর থেকে সহকারী ইঞ্জিনিয়ার চন্দন দাসের বাড়িতে আসেন রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার চারজন অফিসার। ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে তল্লাশি জারি রেখেছে ২৫ ঘন্টা ধরে রাজ্যোর দুর্নীতি দমন শাখা। সঙ্গে তাঁর কলকাতার ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালায় দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তকারীরা। চন্দন দাস দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে এগরা পুরসভার সাব অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। সূত্রের খবর, ১৯৯৩ সালে এগরা পুরসভায় অস্থায়ী সহকারী ইঞ্জিনিয়ারি হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তৎকালীন দুর্নীতির কারণে রাজ্য পুরদফতর ২০২২ সালে ধুপগুড়ি পুরসভায় ট্রান্সফার করে দেয় ইঞ্জিনিয়ার চন্দন দাসকে। ধুপগুড়ি পুরসভায় তিনি সাব অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন বর্তমান। তবে কি কারণে দুর্নীতি দমন শাখার তল্লাশি সঠিক ভাবে জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ডোমকলে রহস্যময় বিস্ফোরণ! তদন্তে নামল ফরেনসিক টিম
কয়েক দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সরকারি প্রকল্প সাধারণ মানুষের জন্য। কোনও রকম দুর্নীতি তিনি বরদাস্ত করবেন না। ঠিকাদার, ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশের ভূমিকা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মমতা। পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন তিনি। এই আবহে এগরায় রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার তল্লাশি ঘিরে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে।
অন্য খবর দেখুন