কলকাতা: সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে জেরা করতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু এই আবেদনে আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর জবাবে সুজয় কৃষ্ণের আইনজীবী আদালতে জানান, আজ তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারছেন না। সেই কারণে জেলের জেল সুপারিন্টেন্ডের তরফে সিবিআইকে জানানো হয়েছে যে, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। এই কথা শুনে মহামান্য বিচারপতি বলেন, “সুজয় কৃষ্ণ যদি শারীরিক অসুস্থতার জন্য বারংবার আদালতে উপস্থিত হতে না পারে, তাহলে আপনারা পেপার অ্যারেস্টের জন্য জেলে যান এবং তাঁকে গ্রেফতার করুন। তারপর প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের জন্য এখানে আসুন।” একইসঙ্গে বিচারপতি তদন্তকারী অফিসারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনি কেন জেলে গেলেন না? কীসের জন্য অপেক্ষা করছেন? সুজয় কৃষ্ণকে ফরমাল অ্যারেস্ট করতে পারতেন। আজ কি কোনও সমস্যা আছে জেলে গিয়ে ওকে অ্যারেস্ট করতে? এই মামলায় কিন্তু উনি গ্রেফতার হননি।”
আরও পড়ুন: পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস, ভিজবে দক্ষিণবঙ্গের ৯ জেলা
এরই মাঝে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, সুজয় কৃষ্ণর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। সেই মামলা শুনানি রয়েছে। একথা শুনে বিচারপতি বলেন, “আপনাদের যখন ক্ষমতা আছে তখন কেন আপনারা জেলে গেলেন না? বারবার এখানে এসে কেন প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের আর্জি জানাচ্ছেন? কে বলেছে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মামলা পেন্ডিং থাকলে সুজয় কৃষ্ণকে গ্রেফতার করা যাবে না? চারবার আপনারা প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের আবেদন করেছেন। কিন্তু জেল থেকে সেটাকে তো এন্টারটেইন করা হয়নি। এটা পঞ্চমবার।” শেষমেশ মামলার শুনানির সময় বিচারপতি বলেন, “আমি সব দিকটা দেখব তারপর অর্ডার দেব। প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট এক্ষেত্রে আদতেই কার্যকরী হবে কিনা সেটাই প্রশ্ন।” এরপর আগামীকাল সুজয় কৃষ্ণকে ভার্চুয়ালি হাজিরার আবেদন জানানো হয় সিবিআইয়ের তরফে। তখন বিচারপতি বলেন, “আপনারা যথেষ্ট সময় পেয়েছেন আমার মনে হয়। আপনারা প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের আবেদন করছেন যাতে অ্যারেস্ট করতে পারেন। কিন্তু সেকশন ২৬৭-এ তো পেপার অ্যারেস্ট না ফরমাল অ্যারেস্ট করা যেত।”
দেখুন আরও খবর: