মুম্বই: এ যেন উলট পুরান। তিন হাজার কোটি টাকার জালিয়াতির মামলায় অনিচ্ছুক এবং একে অপরের কোর্টে বল ঠেলতে ব্যস্ত ইকনমিক অফেন্স উইং ও সিবিআইকে (CBI) ভর্ৎসনা করে তদন্তের স্বার্থে সিট গঠন বোম্বে হাইকোর্টের (Bombay HighCourt)।
জয় কর্পোরেশন (Jai Corporation) লিমিটেডের ডিরেক্টর এবং প্রোমোটার আনন্দ জয় কুমার জৈনের (Anand Jain) বিরুদ্ধে তিন হাজার কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগে সিবিআই-এর জোনাল ডিরেক্টরকে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করার নির্দেশ বম্বে হাইকোর্টের।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে এবং ২০২৩ সালের এপ্রিলে ৬১ বছরের ব্যবসায়ী শোয়েব রিচি সিকুইরা মুম্বাই পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স উইং এর কাছে এই প্রসঙ্গে অভিযোগ জানান।
আরও পড়ুন: ১২লাখের আয়ে কর ছাড়েই কি ‘ঝাড়ু পে ঝটকা’? এগজিট পোলে ইঙ্গিত, দিল্লিতে আপ সাম্রাজ্যের পতন
জনগণের টাকা ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য, বিনিয়োগকারীদের ঠকিয়ে, ভুয়ো কোম্পানি খুলে, ট্যাক্স হেভেনে অর্থ পাচার করা ইত্যাদির অভিযোগ আনা হয়।
২০২১ সালে জানা যায় মুম্বাই সেজ লিমিটেড এবং নবী মুম্বাই সেজ প্রাইভেট লিমিটেডকে সেবি ২০ ও ১০ কোটি টাকা জরিমানা করেছে। যে দুই সংস্থার চেয়ারম্যান জৈন।
এই প্রেক্ষাপটে অভিযোগকারীর বক্তব্য, ইকনমিক অফেন্স উইংকে অভিযোগ পাঠানো হলেও তা স্থানান্তরিত হয় সেবির কাছে। এই কারণে ক্ষুব্ধ অভিযোগকারী হাইকোর্টে।
ইকনমিক অফেন্স উইং ও সিবিআই এর মত তদন্তকারি সংস্থাগুলির আচরণ সম্পর্কে বলার ভাষা পাওয়া যাচ্ছে না। যে অভিযোগ উঠেছে, তার নিরপেক্ষ তদন্ত ওই দুই সংস্থা দ্বারা হওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করা হচ্ছে। তাই সিবিআইকেই সিট গঠন করতে হবে।
এমন বিশাল মাপের অভিযোগের ক্ষেত্রে উপযুক্ত তদন্তের স্বার্থে এবং তদন্ত সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্যই এটা প্রয়োজন। কারণ বিষয়টির সঙ্গে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তির সম্পর্ক রয়েছে জানিয়েছে আদালত।
দেখুন অন্য খবর: