নয়াদিল্লি: ভারতে ঢুকে পড়ল রহস্যময় চিনা নিউমোনিয়া (Chinese Pneumonia)। জানা যাচ্ছে, সাত শিশুর (Child) শরীরে এই নিউমোনিয়ার ব্যাকটেরিয়া থাবা বসিয়েছে। তাদের প্রত্যেকের নমুনা রিপোর্ট পজিটিভ (Positive) পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লি এইমস। বেশ কয়েকদিন ধরেই চিনা শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ছিল। শ্বাসকষ্ট, জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও দিনের পর দিন বেড়ে চলছিল। আশঙ্কা করা হচ্ছিল, করোনাভাইরাসের মতো কোনওভাবে তা ভারতে প্রবেশ করবে না তো? তার জন্য একাধিক সাবধানতাও অবলম্বন করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু, তার মধ্যেই এই দুঃসংবাদ আরও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্বজুড়ে এই নিউমোনিয়ার প্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে কি না তা খতিয়ে দেখার ক্ষেত্রে তৈরি গ্লোবাল কনসর্টিয়ামের সদস্য দিল্লি এইমস ও। হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রাক্তন প্রধান তথা জয়পুরের এনআইএমসের (NIMS) এক চিকিৎসকের কথায়, ‘এম নিউমোনিয়া ব্যাকটেরিয়া ঘটিত এই রোগ মৃদু প্রভাব ফেলে শরীরে। এটিকে ওয়াকিং নিউমোনিয়াও বলা হয়। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে পরিস্থিতি গুরুতর হতে পারে। এই নিমোনিয়া দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে অবিলম্বে স্ক্যানিং শুরু করতে হবে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা থাকলে, তার জন্য মনিটরিং করতে হতে পারে।’
আরও পড়ুন: পড়াশোনার খরচ জোগাতে টিফিন সরবরাহ করতেন মধ্যপ্রদেশের বিধায়ক
উল্লেখ্য, শিশুদের মধ্যেই মূলত এই নিউমোনিয়ার প্রভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। ভারতে স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনিয়া, হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ বি এবং রেসপিরেটরি সিনসাইটাল ভাইরাস প্যাথোজেনগুলিতে মূলত বেশিরভাগ শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। বায়ু দূষণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায় তাদের শরীরে ব্যাকটেরিয়া থাবা বসানোর প্রবণতা বেড়েছে। দ্রুত অ্যান্টিবায়োটিক ট্রিটমেন্ট শুরু করা উচিত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষের মধ্যে এই রোগ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিও আবশ্যক।
দেখুন আরও অন্য খবর