চেন্নাই: নাবালিকা পরিচারিকাকে কাজে রেখে তার উপর অমানুষিক অত্যাচার। প্রতিদিন কথায় কথায় মারধর আর পান থেকে চুন খসলেই চলত নির্যাতন। গরম লোহা থেকে শুরু করে সারা শরীরে দেওয়া হত সিগারেটের ছ্যাঁকা। শৌচাগার থেকে ওই ১৫ বছরের কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে অনুমান নির্মম অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছে ওই নাবালিকার। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে, রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ (Police Investigation)। খুনের অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে কবে থেকে শীতের দেখা? হাওয়া অফিসের নয়া আপডেট
চেন্নাইয়ের (Chennai) মেহতা নগরের ঘটনা। ধৃত দম্পতির নাম মহম্মদ নিশাদ ও তার স্ত্রী নাসিয়া। পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরীর দেহ বাথরুম থেকে উদ্ধার হয়েছে। দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। গরম লোহা ও সিগারেটের ছ্যাঁকার দাগ মিলেছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
এক দম্পতিকে গ্রেফতার সহ আরও চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওই দম্পতির বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, কিশোরী পরিচারিকার দেহ বাড়িতে ফেলে রেখেই ওই দম্পতি আইনজীবীর কাছে পরামর্শ নিতে চলে যান। সেই আইনজীবীই পুলিশকে ঘটনার কথা জানান।
সেই সূত্র ধরেই ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মৃত ওই নাবালিকার মা বিধবা। তিনি থাকেন থানজাভুর জেলায়। নিতান্ত অভাবের তাড়নায় মেয়েকে তিনি পরিচারিকার কাজে দিয়েছিলেন।
দেখুন আরও খবর: