কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপির স্বাস্থ্য ভবন অভিযান (BJP Swasthabhawan Abhijan) ঘিরে তুলকালাম। ঘরোয়া কোন্দল ভুলে বৃহস্পতিবার পথে সুকান্ত, শুভেন্দু (Suvendu Adhikari), দিলীপ (Dilip Ghosh), অর্জুন সিং, অগ্নিমিত্রা পাল, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দেবশ্রী চৌধুরী, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ, হিরণ চট্টোপাধ্যায়রা। মিছিলে ছিলেন বিজেপির সাংসদ-বিধায়কেরাও। এদিন দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে বিজেপির নেতাকর্মীরা। স্বাস্থ্য ভবন যেতে পুলিশের বাধা বিজেপিকে, পর পর ব্যারিকেড ভাঙায় উত্তেজনা ছড়ায়। তবে বেশি দূর এগোতে দেয়নি পুলিশ। রাস্তার উপরে আরও ব্যারিকেড ছিল।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার হাডকো মোড় থেকে স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত মিছিল করে বিজেপি। মিছিলের প্রথম সারিতে ছিল বঙ্গ বিজেপির মহিলা ব্রিগেড। বিশাল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে পুলিশি নিরাপত্তা এড়িয়ে স্বাস্থ্যভবন অভিযানে এগোতে থাকে বঙ্গ বিজেপি। দফায় দফায় ভাঙা হয় ব্যারিকেট। বিজেপি কর্মীদের করুণাময়ীতে আটকানো হয়। সেখানে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের একপ্রস্থ ধস্তাধস্তি হয়। আটক করা হয় শুভেন্দু অধিকারী এবং শমীক ভট্টাচার্যকে। অনেকে পুলিশের বাসের উপর উঠে প্রতিবাদ জানান। অর্জুনকে প্রিজন ভ্যানে তুলতে গেলে বাধা পায় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় বিজেপি কর্মীদের। স্বাস্থ্যভবন থেকে ৫০০ মিটার দূরে রাস্তায় বসে পড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। শুক্রবার রাজ্যজুড়ে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত গেরুয়া শিবিরের।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর, কী লেখা দেখে নিন…
মিছিলের শুরুতেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সুপ্রিম কোর্টে শুনানি সকলেই দেখছেন। রাজ্য সরকার সবচেয়ে দামি আইনজীবী নিয়োগ করেছে। যে মুখ্যমন্ত্রী উই ওয়ান্ট জাস্টিস বলছেন। সেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সরকারের সমস্ত শক্তি লাগিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন। যাতে জাস্টিস না পান। সব দেখছে মানুষ। সুকান্ত বলেন, ‘গোটা বাংলার মানুষ বলছে, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। আমরা চাঁদা তুলে ১০ লক্ষ টাকা দেব, আমাদের বোনকে ফিরিয়ে দিন।লক্ষ্মীর ভাণ্ডার লাগবে না, আমাদের মেয়েকে ফিরিয়ে দিন। লাঠি-গুলি খেলেও বিজেপি পিছিয়ে আসবে না। আমাদের বিরোধী দলনেতার ওপরে হামলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে, দায়িত্ব নিয়ে সিবিআই এখনও অবধি তদন্ত কত দূর এগোতে পারল?
দেখুন ভিডিও