রূপম রায়, নদিয়া: নদিয়ার (Nadia) গয়েশপুরে পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে দু পক্ষের মধ্যে বচসা থেকে হাতাহাতি। ঘটনায় আহত দুই পক্ষের চারজন। আটক করা হয়েছে চারজনকে। নদিয়ার শান্তিপুরে (Shantipur) ব্লকের গয়েশপুর পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই পরিবারের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিবাদ নিয়ে ঝামেলা চলছিল। মঙ্গলবার সেই ঝামেলা চরমে পৌঁছয়। প্রথমে বচসা তারপর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনাতেই দুই পক্ষের মোট চারজন গুরুতর আহত হয়েছে। প্রত্যেকেই শান্তিপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় আহত সুজিত ধাড়ার অভিযোগ আজ জমিতে জল দিতে গিয়েছিলেন তিনি তখনই কাঁদন ধাড়া লোকজন নিয়ে তার উপির চড়াও হয়। তাকে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি মারতে থাকে। ঘটনায় তার মাথায় ৪ টি সেলাই পড়েছে।
আরও পড়ুন: কী কারণে ‘ফাউলাই’ ভাতা থেকে বঞ্চিত বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকরা?
যদিও এই বিষয়ে সুজিত ধাড়ার দাদা খোকন ধাড়া যিনি তৃণমূলের বুথ সভাপতি, তিনি জানান, রামু ধারা নামে স্থানীয় বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য তার নেতৃত্বে দুষ্কৃতীদের সহযোগিতায় এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে অপরদিকে অভিযুক্ত কাঁদন ধাড়ার বক্তব্য তাকে এবং তার বাড়ির সদস্য দেরও বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।
কাঁদন ধাড়া নিজেও গুরতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার মাথায় ৪ টি হাতে ৩ টি সেলাই পড়েছে তা ছাড়াও তার পরিবারের লোকজনদের মধ্যে দুজনের হাতেও সেলাই পড়েছে তারাও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কাদন ধাড়ার অভিযোগ তিনি ভাটায় কাজ করছিলেন।
ঝামেলার কথা শুনে বাড়ি আসার সময় সুজিত ধাড়া এবং তার লোকজন তাকে ঘিরে ধরে লাঠি এবং ধারল অস্ত্র দিয়ে মারধর করে। তবে দুই পক্ষের সকল আহতদের শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হন স্থানীয় তৃণমূলের ব্লক সভাপতিও। তার দাবি বিজেপির পক্ষ থেকেই এই কাজ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সুজিত ধাড়ার পরিবারের পক্ষ থেকে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।
তবে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই ঘটনার কারণে বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত হবে। যদিও এই ঘটনার খবর পেয়ে শান্তিপুর থানার পুলিশ শান্তিপুর হাসপাতালে আসে আহতদের সঙ্গে কথা বলে এবং দুই পক্ষের চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। তবে পারিবারিক অশান্তিতে রাজনৈতিক রং লাগায় এখন শুরু হয়েছে জল্পনা।
দেখুন অন্য খবর: