পশ্চিম মেদিনীপুর: ‘মাটির বাড়ি অথচ আবাস তালিকায় নাম নেই, কিন্তু যাদের পাকা বাড়ি তাদের নাম রয়েছে আবাসের তালিকায়’ এমনই অভিযোগ তুললেন দাসপুরের ধর্মা গ্রামের বাসিন্দারা। আবাস যোজনার সমীক্ষা করতে যাওয়া প্রতিনিধি দলের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন তারা।
ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্টত জানিয়ে দেওয়া হয়, আবাস যোজনায় টাকার জন্য কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী থাকবেনা রাজ্য। যেই সব ব্যক্তিদের মাটির বাড়ি, অথবা বাসস্থান নেই তাদের কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে বাড়ি। কিন্তু সেই আবাস যোজনা নিয়ে বারবার উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। এমনকি রাজ্য সরাকারের পক্ষ থেকেও দাবি করা হয় কেন্দ্র টাকা দিচ্ছেনা, তাই এবার কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী থাকবেনা রাজ্য সরকার। আবাস যোজনার টাকা দেওয়া হবে রাজ্যের পক্ষ থেকেই। কিন্তু তাতেও সুরাহা মিলছেনা আমজনতার।
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা! এবার কড়া মনোভাব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের
ইতিমধ্যেই, আবাস যোজনার যেই তালিকা তৈরি করা হয়েছে সেই তালিকা নতুন করে সমীক্ষার কাজ শুরু করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জেলায় জেলায়। আর সেই সমীক্ষা করতেই গঠন করা হয়েছে দল। সেই দলই আজ যখন পৌঁছয় দাসপুরে গ্রামে, তাদের সামনেই বিক্ষোভ দেখান কিছু মানুষ।
বুধবার বিকেলের দিকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের নন্দনপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধর্মা গ্রামে আবাসের সমীক্ষার কাজে যায় গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি দল।ধর্মা গ্রামে সমীক্ষায় গিয়ে গ্রামবাসীদের একাংশের ক্ষোভের মুখে পড়তে হল সমীক্ষার দলের সদস্যদের।সমীক্ষার সদস্যদের দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ মহিলারা গালিগালাজ পর্যন্ত শুরু করে দেন।প্রতিনিধি দলের সদস্যদের ঘিরে তালিকায় নাম না থাকা বাসিন্দারা একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকেন,মাটির বাড়ি থাকা সত্বেও কেনো তালিকায় তাদের নাম নেই,যাদের পাকা বাড়ি রয়েছে তাদের নাম কেনো তালিকায় এপ্রশ্ন করতে থাকেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা।গ্রামবাসীদের প্রশ্নে সমীক্ষায় যাওয়া একজনকে বলতেও শোনা যায় আগের তালিকা কে বা কারা করেছে জানিনা।আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে তালিকায় নাম না থাকা বাসিন্দারা।তাদের অভিযোগ,ভাঙাচোরা মাটির বাড়ি অথচ আবাস যোজনার আগের তালিকায় তাদের নাম উঠেনি।আজ সমীক্ষায় এসে তাদের সাথে কথা না বলে খোঁজ না নিয়ে যাদের পাকা বাড়ি রয়েছে তাদের বাড়ি গিয়ে কথা বলছে সমীক্ষায় আসা প্রতিনিধি দল।যার জেরে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় সমীক্ষায় আসা প্রতিনিধি দলের সদস্যদের এমনটাই দাবি ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের।এবিষয়ে নন্দনপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দুলাল মন্ডলের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি অবশ্য জানান এধরণের কোনো খবর তার কাছে নেই।তবে আজ ধর্মা গ্রামে গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি টিম সমীক্ষায় গিয়েছিল বলে তিনি জানান।
দেখুন অন্য খবর