জলপাইগুড়ি: খাস জমি, সরকারি জায়গা, নদীর চর দখলের অভিযোগ উঠল এবার জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপঝোরা মূর্তি এলাকায়। মূর্তি নদীর জায়গা, বনের জায়গা দখলের অভিযোগ তুললেন পরিবেশপ্রেমীরা। কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে দখল করে নেওয়া হচ্ছে নদীর চর। জোর গুঞ্জন মালবাজার এলাকায়। গাজলডোবার ছায়া লাটাগুড়ি, মূর্তিতেও, সরকারি জায়গা দখল করে রিসর্ট তৈরির অভিযোগ বিভিন্ন রিসর্ট মালিকের বিরুদ্ধে, অভিযোগ তুলেছেন পরিবেশপ্রেমীরা।পরিবেশ আইন এবং এবং সরকারি নির্দেশিকাকে অমান্য করেই নদীর ধারে গজিয়ে উঠেছে রিসর্টগুলি। তারপরেও এখনও দখলমুক্ত করতে কোনও উদ্যোগ নজরে আসেনি এই এলাকায়। তাই প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক দল এবং পরিবেশপ্রেমীরা গাজলডোবাতে উদ্যোগ নিলেও কেন লাটাগুড়ি মূর্তি এলাকায় উদ্যোগ নজরে আসছে না।
গরুমারা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন দক্ষিণ ধূপঝোরা এবং মূর্তি এলাকায় মূর্তি নদীর গা ঘেঁষে তৈরি হয়েছে একাধিক রিসর্ট। কোথাও নদীর চর ঘেরা দিয়ে দখল করা হয়েছে, তো কোথাও নদীর খাস জমির উপর সুইমিং পুল তৈরি হয়েছে। এমনই অভিযোগ। সব দেখেও নীরব ব্লক প্রশাসন থেকে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: সিকিমে ঢুকলে গাড়িতে বড় আবর্জনার ব্যাগ রাখতে হবে
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নদী থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে কোনও প্রকল্প করা যায় না। এমনকী যে এলাকা দিয়ে নদী বয়ে যায় তার পার্শ্ববর্তী এলাকা খাস বলেই ধরা হয় সরকারিভাবে। শুধু তাই নয়, ভূমি সংস্কার দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানাচ্ছেন, পাট্টার জমির কোনওভাবে পাট্টা হস্তান্তর করা যায় না। তাহলে কী করে পাট্টার জমির উপরে এত রিসর্ট গড়ে উঠল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যদিও গোটা ঘটনা নিয়ে মেটলির ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের সাফাই, সরকারিভাবে লিখিত কোনও নির্দেশিকা এখনও তিনি পাননি সেই কারণে সরকারি জায়গা খাস জমি দখল করে থাকলেও লিখিত কোনও নির্দেশিকা বা নোটিশ দেন নি।
অনির্বাণ মজুমদার নামে এক পরিবেশপ্রেমী বলেন, ২০১৪-১৫ সাল থেকে আমরা আন্দোলন করে আসছি সরকারি জমি, জঙ্গলের জমি দখল হচ্ছে তার বিরুদ্ধে। নদীর ধারে গজিয়ে উঠছে রিসর্ট। সব দেখেও চুপ করে ছিলেন আধিকারিকরা। গরুমারা জাতীয় উদ্যানের পাশে মূর্তি নদীর পাশে হাজার হাজার বিঘা জমির দখল করে বসে রয়েছে। হাতিদের করিডোর পর্যন্ত অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে।
আদিবাসী নেতা তথা প্রাক্তন ওয়াইল্ড লাইফ বোর্ড সদস্য রাজেশ লাকারা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, বেআইনিভাবে গজিয়ে ওঠা রিসর্ট সরকারি জায়গা দখলের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। মেটলির বিডিও অভিনন্দন ঘোষ বলেন, আমরা অভিযান শুরু করেছি। তিন-চারটি রিসর্টে গিয়েছি পরিদর্শন করেছি। মালিকদের নথি নিয়ে এসে দেখাবার জন্য বলা হয়েছে। তবে কোনও লিখিত নোটিশ করা হয়নি। কারণ লিখিত কোনও নির্দেশিকা আমাদের কাছে এখনও এসে পৌঁছয়নি সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করার ব্যাপারে।
আরও খবর দেখুন