সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তমলুক: তাম্রলিপ্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজের (Tamralipta Government Medical College) অধ্যক্ষের ফেসবুক পোস্ট (Principal’s Facebook post) ঘিরে বিতর্ক। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররা।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সদর তমলুকে রয়েছে তাম্রলিপ্ত গভমেন্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল।
২০২২ সালে ১০০ আসন বিশিষ্ট মেডিক্যাল কলেজে শুরু হয় পঠনপাঠন। দিন কয়েক আগে নারী দিবসের (International Women’s Day) একটি পোস্ট শেয়ার করেন মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল শর্মিলা মল্লিক (Principal Sharmila Mallick) । সেই পোস্টকে ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক।
কলেজের প্রিন্সিপালের শেয়ার করা পোস্টে লেখা ছিল “সকলকে জানাই নারী দিবসের শুভেচ্ছা। কোলাজের কন্টেক্সট জিজ্ঞেস করে লজ্জা দেবেন না। নারীরা সাম্য পাক, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলুক- এই আশা করি না। অন্তত ভ্রূণহত্যা হয়ে না মরুক, বাসে ট্রেনে মলেস্টেড হয়ে না মরুক, কর্মক্ষেত্রে-ধর্মক্ষেত্রে ধর্ষিতা হয়ে না মরুক, শ্বশুরবাড়িতে হঠাৎ আগুনে পুড়ে না মরুক- এটুকু হলেই অনেক….” পাশাপাশি ছিল দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ একাধিক ছবি।
আরও পড়ুন: অভিষেক-কন্যা সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য মামলায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ তিন অভিযুক্ত
এই পোস্টের মাধ্যমে মানহানি করা হয়েছে এমনটাই অভিযোগ করেন মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা। প্রথমে বিষয়টি নিয়ে অধ্যক্ষের কাছে জানান। তমলুক থানায় গিয়ে কলেজের অধ্যক্ষের নামে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন মেডিক্যাল কলেজের ।
মেডিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র, কিংশুক দাস অভিযোগ করে বলেন, আমাদের কলেজের অধ্যক্ষ যেভাবে তার ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীকে জড়িয়ে খারাপ মন্তব্য করেছেন তা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি তাই আমরা প্রিন্সিপাল ম্যাডামের কাছে গিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। কোন রকম ভাবেই নিজের ত্রুটি সংশোধন করতে রাজি হননি তিনি। তাই আমরা বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।
যদিও এ বিষয়ে তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল শর্মিলা মল্লিক বলেন, ফেসবুক এমন একটি জায়গা যেখানে মানুষ তার নিজের ভালো লাগার বিষয়গুলিকে শেয়ার করে। প্রিন্সিপাল সত্ত্বার বাইরেও আমার একটা মানবিক সত্ত্বা রয়েছে। আমি কখনোই সরকারের বিরুদ্ধে বা কাউকে আঘাত করার জন্য কোন কিছু করিনি।
দেখুন অন্য খবর: