নয়াদিল্লি: ‘গরম ধরম ধাবা’ (‘Garam Dharam Dhaba) ব্যবসার শাখা খোলা নিয়ে বিতর্ক। দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট (Patiala House Court, Delhi) থেকে বলিউডের বিশিষ্ট বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র (Veteran actor Dharmendra) সহ দুজনের বিরুদ্ধে ওই আদালত থেকে সমন পাঠানো হয়েছে। বর্ষীয়ান অভিনেতার নামে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। ধর্মেন্দ্র-সহ তিন জনই ধাবার অংশীদার। গত ৫ ডিসেম্বর এই সমন পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ওই নামে শাখা ধাবা খুলতে গিয়ে আগ্রহী দিল্লির ব্যবসায়ীরা প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ। দিল্লির ব্যবসায়ী সুশীল কুমারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (প্রথম শ্রেণি) যশদীপ চাহাল এই সমন জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘আদানি ইস্যুতে সংসদে আলোচনা করতে ভয় পায় বিজেপি সরকার’ ফের কটাক্ষ প্রিয়াঙ্কার
পেশ তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে মনে করা যেতেই পারে যে, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে জালিয়াতি করা হয়েছে। তাই ভারতীয় ফৌজদারি আইন অনুসরণে জালিয়াতি, ফৌজদারি চক্রান্ত, কয়েকজন মিলে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে ঠকানো ইত্যাদির অভিযোগ আনা হয়েছে। সুশীল কুমার দাবি করেছেন প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তিনি কখনই লাভের মুখ দেখেননি। তার পরেই তিনি জালিয়াতির অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পাটিয়ালা হাউস কোর্ট জানিয়েছে, নিজের বক্তব্যের সমর্থনে নথিও জমা দিয়েছেন ব্যবসায়ী সুশীল কুমার।
উল্লেখ্য, মাসে ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকার ব্যবসা করে গরম ধরম ধাবা। দিল্লির কনট প্লেস, মুরথাল, হরিয়ানাতেও তাদের শাখা রয়েছে। অভিযোগকারী ৪১ লক্ষ টাকা জমা দিলে সাত শতাংশ লাভের আশ্বাস তাঁকে দেওয়া হয়। সেই মতো ১৭. ৭০ লক্ষ টাকা চেক মারফত জমা দিয়ে অভিযোগকারী ওই ব্যবসা করার জন্য লেটার অফ ইনটেন্ট বা সম্মতিপত্র পান। কিন্তু তারপরে আর কিছুই হয়নি। উল্টে বিষয়টি নিয়ে বারংবার যোগাযোগ করার চেষ্টা হলে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
মামলার শুনানি ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। আদালত ওই দিন সেদিন অভিযুক্তদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। ব্যবসায়ী সুশীল কুমারের দাবি, তার সঙ্গে এমন প্রতারণা করা হয়েছে, যা তাকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে । তবে অভিনেতা ধর্মেন্দ্র ও তার সহযোগীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করে তারা জানিয়েছেন আদালতের নির্দেশ মেনে চলতে তারা বাধ্য।
বলিউডের অন্যতম অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। প্রিয় তারকার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগে হতবাক ভক্তরা।
দেখুন অন্য খবর: