নয়াদিল্লি: অন্তর্বর্তী খোরপোশের বিরোধিতায় সমাজমাধ্যমে স্ত্রীর ব্যভিচারের তথ্য প্রমাণ হিসেবে স্বামী ব্যবহার করতে পারেন। রায় পাঞ্জাব (Punjab) ও হরিয়ানা (Haryana) হাইকোর্টের (High Court)। এমন তথ্য শুধু অন্তর্বর্তী খোরপোশের বিরোধিতায় নয়, মামলার খরচ পাওয়ার দাবি নাকচের আবেদনের ক্ষেত্রেও গ্রহণযোগ্য। জানিয়েছে আদালত।
অন্তর্বর্তী খোরপোশের আবেদনের বিরোধিতায় স্বামী সমাজ মাধ্যম থেকে স্ত্রীর ব্যভিচারের তথ্য সংগ্রহ করে পেশ করলে, আদালতকে অবশ্যই তা বিবেচনা করতে হবে। সেই তথ্য ভারতীয় সাক্ষ্য আইন এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন অনুসারী কি না, তা বিবেচ্য নয়। আইনি ব্যাখ্যা অবশ্যই পরিবর্তনশীলতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে যে ব্যাখ্যা প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে, তাকে বাদ দিতে হবে। সেই কারণেই সমাজ মাধ্যমে থাকা তথ্য কেউ মামলায় ব্যবহার করতে চাইলে, তার গ্রহণযোগ্যতা বিচার করতে হবে। অভিমত বিচারপতি সুমিত গোয়েলের।
আরও পড়ুন: ইরানকে কড়া হুঁশিয়ারি আমেরিকার, জরুরি বৈঠক রাষ্ট্রসঙ্ঘের
বর্তমান সামাজিক জীবন ভীষণভাবে সমাজ মাধ্যম নির্ভর। সেখানে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের ভূমিকা অস্বীকার করা যাবে না। ঐসব মাধ্যমে ব্যবহৃত ছবি, বক্তব্য যেভাবে পেশ হয়, তা প্রমাণ হিসেবে বিশ্বাসযোগ্য। যা আদালত বিচার করতেই পারে। মন্তব্য আদালতের।
পারিবারিক আদালত অন্তর্বর্তী খোরপোশ হিসেবে প্রতি মাসে স্ত্রীকে তিন হাজার এবং মামলার খরচ হিসেবে আরও দশ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। স্বামী তাঁর স্ত্রীর সমাজমাধ্যমে থাকা ব্যভিচারের তথ্য পেশ করে সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করেন। সেই তথ্য অনুযায়ী স্ত্রী বর্তমানে অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে বসবাস করছেন।
আরও খবর দেখুন