রায়দিঘী: সুন্দরবনবাসী বলেন…ঝড়ের আগেই আসেন কান্তি এবারও তার অন্যথা হল না। আয়লা, আমপান, ইয়াস, এবার দানা। চেনা সেই একই ছবি। সুন্দরবনের ঝড় মানেই যে মানুষটা দুর্গতদের পাশে এসে দাঁড়ান তিনি আর কেউ নন, তিনি কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। বাম আমল বদলে এখন তৃণমূল আমল। তারপরও কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় (Kanti Gangully) তাঁর কর্তব্য থেকে এতটুকু সরে যাননি। বাম জমানা নেই। বাম নেতৃত্বের সেই দাপট আর নেই। তবে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় আজও সাধারণ মানুষ থেকে মৎস্যজীবীদের পাশে থেকে গিয়েছেন। কখনও নিজের তাগিদে, কখনো ডাক পেয়ে বিপন্ন মানুষদের কাছে ছুটে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দানার জেরে বন্ধ দুই ফেরিঘাট
বাম আমলে তিনি ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী। তবে বর্তমানে মন্ত্রী বা বিধায়ক পদেও নেই। আগের মতো সামর্থ্যও আর নেই। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শরীরও ভেঙেছে। তবু বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি কোন কিছুই ভাবেন না। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অশান্ত থাকবে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল। তবে সেখানে নদী-সমুদ্র ধীরে ধীরে রূপ বদলাতে শুরু করলেও ঝড় সেভাবে এখন হচ্ছে না। দানা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার আগেই কান্তি পৌঁছে গিয়েছেন সুন্দরবনের উপকূল এলাকা রায়দিঘিতে। রায়দিঘির কুমোড়পাড়ায় ঝড় মোকাবিলায় কি পরিস্থিতি রয়েছে তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ঘুরে দেখলেন নদী বাঁধ এলাকা। প্রান্তিক মানুষদের কষ্টের কথাও শুনলেন। ঝড়ের সতর্কতা হিসেবে পরামর্শও দিলেন। কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, প্রশাসন যোগাযোগ করেনি। করবেও না। তবে প্রতিবার আমি থাকি। যদি রাতে ঝড় আসে। আর পূবের হাওয়া হয় তাহলে নদী বাঁধ টপকে জল ঢুকবে। ভাঙবে।
অন্য খবর দেখুন