সান্দাকফু: শীত পড়তেই বাঙালির মন উড়ু উড়ু। কেউ দিঘা, কেউ পুরী, তো কেউ আবার পাহাড়ের টিকিট কাটছেন। তবে পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়া এবার আরও কঠিন হতে চলেছে। কারণ এবার সান্দাকফু যেতে লাগবে ফিটনেস সির্টিফিকেট। সূত্রের খবর, এই বিষয়ে নতুন নিয়ম জারি করতে চলেছে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন ও জিটিএ কর্তৃপক্ষ। এবার থেকে পাহাড়ে যাওয়ার জন্য মেডিক্যাল ফিটনেস সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫-এর ১ জানুয়ারি থেকেই চালু হতে চলেছে এই নতুন নিয়ম।
আসলে বেড়াতে গিয়ে পাহাড়ের দুর্গম পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে না নিতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। সম্প্রতি পাহাড়ে ঘুরতে এসে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে একাধিক পর্যটকের। এই বছরেই তিন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সান্দাকফুতে বেড়াতে এসে বা ট্রেকিংয়ে গিয়ে। প্রশাসন সূত্রে খবর, পরিবেশ ও পরিস্থিতির সঙ্গে মানাতে না পারার কারণেই বারবার এই দুর্ঘটনা ঘটছে। একইসঙ্গে সান্দাকফু বা টুমলিংয়ের মতো এলাকায় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা যায় কিনা তাও খতিয়ে দেখছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সান্দাকফু এলাকাটি সিঙ্গালীলা জাতীয় উদ্যানের মধ্যে থাকায় জমি সংক্রান্ত কিছু সমস্যা আছে সেখানে। সেইসব সমস্যা মিটিয়ে প্রস্তাবটি বিবেচনার জন্য রাজ্য সরকারকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: শীতের নিঃশ্বাসে বিষ, পাতে এক কুচি আমলকি উজ্জ্বলতা বাড়াবে ত্বক, চুলে
উল্লেখ্য, বর্তমানে সান্দাকফু যাওয়ার জন্য ট্রেকিংয়ে প্রায় পাঁচদিন সময় লাগে। জনপ্রতি প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ করতে হয় ট্রেকারদের। ট্রেকিংয়ের সময় ঘোড়া নিষিদ্ধ হওয়ায় এখন ট্রেকারদের মালবাহক বা পোর্টার বা পনি সঙ্গে নিতে হবে। এর জন্য খরচ অনেকটাই বাড়বে ট্রেক করতে যাওয়া পর্যটকদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী, এখানকার রাস্তা ঠিক করতে হবে। কারণ এই অঞ্চলে প্রায় ২০টি গ্রামে প্রায় ৪০টির বেশি হোমস্টে রয়েছে। তাদের আশঙ্কা পনি না পেয়ে ট্রেকাররা ট্রেকিং থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে ঐ অঞ্চলের মানুষের অর্থনীতি বিপন্ন হবে। তেমনটা হলে বিপন্ন হবে তাদের রুটি রুজি।
দেখুন আরও খবর: