নয়াদিল্লি: মানুষের অবাধে বক্তব্য পেশ করার অধিকার আছে। কিন্তু রাষ্ট্রই কেবল সত্যিটা জানে। এটা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব নয়। তথ্যপ্রযুক্তি আইন সংশোধন প্রসঙ্গে মন্তব্য বম্বে হাইকোর্টের (Bombay High Court)। সেই সঙ্গে ২০২১ সালের তথ্যপ্রযুক্তি সংশোধন আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণা বিচারপতি অতুল চান্দুরকারের। তাঁর মতে, নাগরিকদের অবাধে বক্তব্য পেশ করা ও মনোভাব প্রকাশ করার অধিকার আছে। কিন্তু সত্য সম্পর্কে নয়। নাগরিক কেবল সত্যটাই জানবে, সেই জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব নয়। এরকম দাবিও রাষ্ট্র করতে পারে না বলে তাঁর অভিমত।
মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ও সংবাদ খতিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যাতে উপযুক্ত ফ্যাক্ট চেক ইউনিট তৈরি করতে পারে, তার জন্য বিচারপতি কিছু অভিমত রায়ে দিয়েছেন। তথ্যপ্রযুক্তি সংশোধিত আইনের কয়েকটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে হওয়া একগুচ্ছ মামলা সূত্রে অভিমত। প্রসঙ্গত, সম্পর্কিত মামলাগুলিতে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আলাদা দুটি রায় দেন। দু’রকম অভিমত থাকায় তৃতীয় বিচারপতি হিসেবে চান্দুরকারের কাছে মামলাটি পেশ হয়।
আরও পড়ুন: খাদ্যের গুণমান নিয়ে কেন্দ্রকে বড় নির্দেশ কেরল হাইকোর্টের
সেই সূত্রেই ডিভিশন বেঞ্চের এক বিচারপতির অভিমতের সঙ্গে সহমত জ্ঞাপন করে তৃতীয় বিচারপতির অভিমত, সংবিধানের আর্টিকেল-১৪, অর্থাৎ সাম্যের অধিকার এবং অবাধ বক্তব্য পেশের অধিকারের পরিপন্থী সংশোধিত তথ্য প্রযুক্তি আইন।
নাগরিক যেন মিথ্যা অথবা বিভ্রান্তিকর তথ্য ও সংবাদ না পায়, তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব নয়। ২০২১ সালের সংশোধনের সমালোচনা করে বিচারপতির অভিমত, ডিজিটাল ও প্রিন্ট সংবাদ মাধ্যমের ক্ষেত্রে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণযোগ্য নয়।
ফ্যাক্ট চেক ইউনিটগুলি কেন্দ্রীয় সরকার সম্পর্কিত তথ্য ভুল বা জাল কিনা খতিয়ে দেখতে পারে। কিন্তু রাজ্য সরকারের ক্ষেত্রে সেই ব্যবস্থা নেই। এমনকি এই কাজের জন্য ইউনিটগুলোর জন্য কোনও গাইডলাইনও নেই। এই দুটি বিষয়ে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি চান্দুরকার। যাবতীয় অভিমত দিয়ে বিচারপতি চান্দুরকরের বিষয়টিকে ফের ডিভিশন বেঞ্চের সামনে পেশ করার নির্দেশ। যাতে নতুন করে বিষয়টির অভিমতসহ নিষ্পত্তি হয়।
আরও খবর দেখুন