জয়পুর: ভারতের (India) মধ্যে রাজস্থানে (Rajasthan) প্রথম শুরু হচ্ছে ডেডিকেটেড রেলওয়ে টেস্ট ট্র্যাক (Dedicated test track)। এই কর্মসূচি ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা। কাজ প্রায় সম্পন্ন। ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টেস্ট ট্র্যাকটি আকারে সম্পূর্ণ সোজা নয়, থাকছে অনেকগুলি বাঁক।
এই ট্র্যাকটির মানে কী? বাঁকা কেন? ভারতীয় রেলওয়ে সূত্রে খবর, এই ট্র্যাকটি বাঁকা তার কারণ রোলিং স্টক পরীক্ষার জন্য এই জাতীয় টেস্ট ট্র্যাক তৈরি হয়। এসব বাঁক রাখার অর্থ, যাতে গতি না কমিয়ে বাঁকা ট্র্যাকের উপর দিয়ে ট্রেনটি কীভাবে যায়, সেটা পরীক্ষা করা। এই ট্র্যাকের কাজ শেষ হলে, প্রথম ধাপের কাজ শেষ হওয়ার পর বুলেট ট্রেনও ২৩০ কিলোমিটার বেগে পরীক্ষা করা যাবে। এর মাধ্যমে, গতিতে আসা ট্রেনটি গতি না কমিয়ে বাঁকা ট্র্যাকের উপর দিয়ে কীভাবে চলে যাবে তার একটি পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের ‘অস্ত্র’ প্রস্তুত, সোমবার থেকে আরজি কর কাণ্ডের বিচার শুরু
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের এই প্রথম ডেডিকেটেড রেলওয়ে টেস্ট ট্র্যাক তৈরি হচ্ছে দুই ফেজে। থাকবে ট্র্যাক, সিগন্যাল-সহ সব বিষয়ের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার।
এই টেস্ট ট্রাকে ৭টি স্টেশন থাকবে। এই ডেডিকেটেড টেস্ট ট্র্যাক শুধু ভারতের প্রথম নয়, বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা ডেডিকেটেড টেস্ট ট্র্যাক হতে চলেছে।
এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ তৈরিতে খরচ পড়বে আনুমানিক ৮২০ কোটি টাকা। এই টেস্ট ট্র্যাক আধুনিকতার দিকে অগ্রসর হওয়া রেলপথের দিকে একটি মাইলফলক হিসাবে প্রমাণিত হবে।
পরিকাঠামো শক্তিশালী করার পাশাপাশি, অতীতে রেলওয়ের দ্বারা সুরক্ষিত রেল কার্যক্রমের উপরও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। রেলওয়ে ট্র্যাক ছাড়াও, রোলিং স্টক নিরাপত্তা জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রোলিং স্টক ব্যবহার করার আগে, এটি ব্যাপকভাবে এবং নিবিড়ভাবে পরীক্ষা করা প্রয়োজন, তবেই এটি নিরাপত্তার মানদণ্ড পূরণ করতে পারবে।
রেলের দাবি, ডেডিকেটেড টেস্ট ট্র্যাকের মাধ্যমে নিরাপত্তা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
দেখুন: