Placeholder canvas
HomeScrollধান্যকুড়িয়ার শ্মশানে পুজোর দিনেই কালীর মূর্তি তৈরি হয় আজও

ধান্যকুড়িয়ার শ্মশানে পুজোর দিনেই কালীর মূর্তি তৈরি হয় আজও

জমিদারদের দান করা জমিতে আজও পূজিত হন মা

বসিরহাট: ধান্যকুড়িয়ার (Dhanyakuri) গাইন ,সাউ বল্লভ জমিদারদের দান করা জমিতে আইবুড়ো মা পূজিত হন। বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ২ নম্বর ব্লকের ধান্যকুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মাটিয়া শ্মশানের কালীপুজো হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে এক সম্প্রীতির মেলবন্ধন তৈরি করে। শ্যামাপুজোর দিন প্রতিমা তৈরি করা হয়, সেই রাতেই মায়ের পুজো হয়। পরের দিন সূর্য ডোবার আগে বিদ্যাধরী নদীতে মাকে বিসর্জন দেয়া হয়। মা কালীর মূর্তি এখানে শান্ত। স্থানীয় যাঁরা মৃতদেহ দাহ করতে আসেন শ্মশানে, তাঁরা কালীপুজোর রাতে এসে মায়ের কাছে মানত করেন। হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে কালীপুজোর (Kalipuja 2023) রাতে এখানে বহু মানুষের ভিড় হয়। চারদিকে মেলা বসে।

ধান্যকুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মাটিয়া শ্মশানে কালীপুজোয় হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে এক সম্প্রীতির মেলবন্ধন তৈরি করে। শ্যামাপুজোর দিনকে প্রতিমা তৈরি করা হয়,সূর্য ডোবার আগে বিদ্যাধরী নদীতে মাকে বিসর্জন দেয়া হয়। শ্মশানকালীতে সারা বছর ধরে মায়ের প্রতিটি ছবি ও ঘটে পূজা করেন এখানকার পুরোহিতরা। ৭ অঞ্চলের মানুষ যারা এখানে শ্মশানে এসে তাদের মৃত পরিবারের সদস্যদের দাহ করেন। ওই কালীপুজোর দিন মায়ের কাছে মানত করেন। একটাই প্রার্থনা দুর্ঘটনা প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে যাতে তাদের রক্ষা করেন। কালীপুজোর দিন হিন্দু ও মুসলিম উভয় মায়ের কাছে আসেন নিজেদের মনো কামনা পূরণের আসায়। এক রাতের শ্মশানকালী সম্প্রীতি উৎসবে লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হয়। আনারুল মন্ডল বলেন, এখানে বাসন্তীপুজো, দুর্গাপুজো, কালীপুজো, আমরা একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উৎসবে অংশগ্রহণ করি। উভয় সম্পদের মানুষের কাছে প্রাচীন আবেগ সংস্কৃতি জড়িয়ে রয়েছে। জমিদারদের দান করা জমিতে আজও পূজিত হন মা।

আরও পড়ুন: একটি বাজির আগুনে ছাই সন্তানের গড় আয়ু

গ্রামবাসী সঞ্জয় কর্মকার বলেন, মায়ের কোন জীব নেই মা আইবুড়ো। পুজোর দিন এখানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এসে মানুষ করেন এক রাতের এই কালী পুজো দেখতে ভিড় যেমন রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন্ন রাজ্যে বহু দর্শনার্থীরা কালী পুজোর দিন রাতে সব সম্প্রদায় মানুষের কাছে এই পুজো এক অনন্য প্রাচীন সংস্কৃতি বহন করে চলে আসছে। এখানে পুজোয় মায়ের ভোগ প্রসাদ সবাই মিলিতভাবে একসঙ্গে বসে পাত পেরে খাই। এখানে কোনও জাতি ভেদাভেদ নেই ধর্মের কোন বিভাজন নেই। এখানে জমিদারদের প্রাচীন সংস্কৃতি প্রথা মেনে সবাই একসঙ্গে মিলিত হয়ে পূজোর দিন হাজির হই সবাই উৎসবে মাতি।

আরও অন্য খবর দেখুন

High Court of Manipur | মণিপুরে পরীক্ষামূলকভাবে মোবাইল চালুর নির্দেশ হাইকোর্টের

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments