নয়াদিল্লি: বিবাহে অসম্মতি (Disagreement marriage )কোনভাবেই আত্মহত্যায় প্ররোচনা হিসাবে আইনত গ্রাহ্য হতে পারে না, রায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) । আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, অভিযুক্ত স্রেফ বিবাহে অসম্মতি জানিয়েছেন।
দুই পক্ষের মধ্যে ভালোবাসা থাকলেও বিবাহের অসম্মতির সিদ্ধান্ত কোনভাবেই আত্মহত্যায় প্ররোচনা হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। এক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া একটি সমাজের একটি অংশ। এর জন্য কাউকে আত্মহত্যার প্ররোচিত করা হয়েচে বলে দায়ী করা যেতে পারে না।
আদালত মামলারর আইনজীবী জানিয়েছেন, ২১ বছরের এক তরুণীর সঙ্গে এক যুবকের দীর্ঘ আট বছরের সম্পর্ক ছিল। বিয়ে করতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যুবক। কিন্তু পরে যুবকটি বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। ২০০৭ সালের ১৮ আগস্ট যুবকের কাছ থেকে অসম্মতি পাওয়ার পর ওই তরুণী বিষ খান ও পরে মৃত্যু হয় তাঁর। আদালত তাঁর পর্যবেক্ষণে
মেয়েটি আগেই বাড়ি থেকে বিষ নিয়ে যায়। ছেলেটি বিয়ে করতে অসম্মত হলে সে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল। ফলে কোনভাবেই অভিযুক্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে সাজা দেওয়া যায় না। অভিমত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পঙ্কজ মিথল ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঁইয়ার ডিভিশন বেঞ্চের।
আরও পড়ুন: সুন্দর পিচাইকে আদালত অবমাননার নোটিশ মুম্বই আদালতের
বেঞ্চ উল্লেখ করেছে, প্ররোচনা বলতে কাউকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচিত করা বা ইচ্ছাকৃতভাবে সাহায্য করার মানসিক প্রক্রিয়া জড়িত থাকে।
আদালত সূত্রে খবর, ১৩ বছর বয়স থেকে মেয়েটি ছেলেটির সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। ২১ বছর বয়সে পা রাখার পর সে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এই প্রেক্ষাপটে মেয়েটিকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ আনলেও নিম্ন আদালতে অভিযোগ খারিজ হয়। কিন্তু কর্ণাটক রাজ্য সরকারের আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার জন্য চার এবং ঠকানোর জন্য আরও এক বছর কারাবাসের নির্দেশ দেয়।
হাই কোর্টের সেই রায় খারিজ করে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, প্রমাণগুলি প্ররোচনার প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে। আদালতে পেশ করা প্রমাণগুলি কোনও ভাবে এটা বোঝাচ্ছে না যে, অভিযুক্ত আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছিলেন। আদালত জানিয়েছে, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া সমাজে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। এটি সমাজের একটি অংশ। এক্ষেত্রে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কারণ হিসেবে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল সেই যুক্তি খাড়া করা যায় না। অভিযুক্ত আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার জন্য সরাসরি যুক্ত এমন কোনও প্রমাণ আদালতে পেশ করা হয়নি।
দেখুন অন্য খবর: