skip to content
Tuesday, January 21, 2025
HomeScrollবিবাহে অসম্মতি ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনা’ বলে আইনত গ্রাহ্য হতে পারে না, সুপ্রিম অভিমত
Supreme Court

বিবাহে অসম্মতি ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনা’ বলে আইনত গ্রাহ্য হতে পারে না, সুপ্রিম অভিমত

সম্পর্কে ভাঙন, দূরত্ব এটি সমাজের একটি অংশ

Follow Us :

নয়াদিল্লি: বিবাহে অসম্মতি (Disagreement  marriage )কোনভাবেই আত্মহত্যায় প্ররোচনা হিসাবে আইনত গ্রাহ্য হতে পারে না, রায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) । আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, অভিযুক্ত স্রেফ বিবাহে অসম্মতি জানিয়েছেন।

দুই পক্ষের মধ্যে ভালোবাসা থাকলেও বিবাহের অসম্মতির সিদ্ধান্ত কোনভাবেই আত্মহত্যায় প্ররোচনা হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। এক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া একটি সমাজের একটি অংশ। এর জন্য কাউকে আত্মহত্যার প্ররোচিত করা হয়েচে বলে দায়ী করা যেতে পারে না।

আদালত মামলারর আইনজীবী জানিয়েছেন, ২১ বছরের এক তরুণীর সঙ্গে এক যুবকের দীর্ঘ আট বছরের সম্পর্ক ছিল। বিয়ে করতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যুবক। কিন্তু পরে যুবকটি বিয়ে করতে অস্বীকার করেন।  ২০০৭ সালের ১৮ আগস্ট যুবকের কাছ থেকে অসম্মতি পাওয়ার পর ওই তরুণী বিষ খান ও পরে মৃত্যু হয় তাঁর।  আদালত তাঁর পর্যবেক্ষণে

মেয়েটি আগেই বাড়ি থেকে বিষ নিয়ে যায়। ছেলেটি বিয়ে করতে অসম্মত হলে সে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল। ফলে কোনভাবেই অভিযুক্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে সাজা দেওয়া যায় না। অভিমত সুপ্রিম কোর্টের  বিচারপতি পঙ্কজ মিথল ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঁইয়ার ডিভিশন বেঞ্চের।

আরও পড়ুন: সুন্দর পিচাইকে আদালত অবমাননার নোটিশ মুম্বই আদালতের

বেঞ্চ উল্লেখ করেছে, প্ররোচনা বলতে কাউকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচিত করা বা ইচ্ছাকৃতভাবে সাহায্য করার মানসিক প্রক্রিয়া জড়িত থাকে।

আদালত সূত্রে খবর, ১৩ বছর বয়স থেকে মেয়েটি ছেলেটির সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। ২১ বছর বয়সে পা রাখার পর সে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এই প্রেক্ষাপটে মেয়েটিকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ আনলেও নিম্ন আদালতে অভিযোগ খারিজ হয়। কিন্তু কর্ণাটক রাজ্য সরকারের আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার জন্য চার এবং ঠকানোর জন্য আরও এক বছর কারাবাসের নির্দেশ দেয়।

হাই কোর্টের সেই রায় খারিজ করে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, প্রমাণগুলি প্ররোচনার প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে। আদালতে পেশ করা প্রমাণগুলি কোনও ভাবে এটা বোঝাচ্ছে না যে, অভিযুক্ত আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছিলেন। আদালত জানিয়েছে, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া সমাজে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। এটি সমাজের একটি অংশ। এক্ষেত্রে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কারণ হিসেবে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল সেই যুক্তি খাড়া করা যায় না। অভিযুক্ত আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার জন্য সরাসরি যুক্ত এমন কোনও প্রমাণ আদালতে পেশ করা হয়নি।

দেখুন অন্য খবর:

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Junior Doctors | RG Kar Case Update | যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সঞ্জয় রায়ের, কী বলছেন জুনিয়র ডাক্তাররা?
57:29
Video thumbnail
RG Kar Case Update | যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সঞ্জয় রায়ের
01:18:35
Video thumbnail
RG Kar Case Update | Judge | আমৃ*ত্যু কারাদণ্ড সঞ্জয় রায়ের, বিচারক কী কী জানিয়েছেন? দেখুন এই ভিডিও
37:36
Video thumbnail
RG Kar Update | শুরু সাজা ঘোষণার প্রক্রিয়া, কী হচ্ছে এই মুহুর্তে? দেখুন সরাসরি
02:59:28
Video thumbnail
RG Kar Case Update | সাজা ঘোষণার পর বিরাট মন্তব্য নির্যাতিতার বাবা-মা'র , কী বললেন শুনুন
34:15
Video thumbnail
RG Kar Case Update | আমৃ*ত্যু কারাবাস সঞ্জয় রায়ের
37:56
Video thumbnail
RG Kar Case Update | দুপুর ২.৪৫ মিনিটে সাজা ঘোষণা জানিয়ে দিলেন বিচারক অনির্বাণ দাস
02:08:00
Video thumbnail
R G Kar Case Update | আমাকে ফাঁসানো হয়েছে আদালতে বিরাট মন্তব্য সঞ্জয় রায়ের, আর কী কী বললেন সঞ্জয়?
56:13
Video thumbnail
RG Kar | Mamata Banerjee | আজ সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণা, কী বললেন মমতা?
02:53:26
Video thumbnail
RG Kar Case Update | রুদ্রাক্ষের মালা কি বাঁচাবে সঞ্জয়কে?
52:13