নয়াদিল্লি: পুজো, অনুষ্ঠান, সভার সময় মাঝ রাতেও অনেকে সময় মাইকের তীব্র শব্দে কান ঝালাপালা হয়ে যায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শব্দের মাত্রা বেঁধে দেওয়া হলেও তা থোরাই কেয়ার করা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ব্যবস্থা হলেও প্রচুর অভিযোগের কোনও সুরাহা হয় না। এবার এক্ষেত্রে এরকম ঘটনা ঘটলে প্রশাসনকেই দায়ী থাকতে হবে। তাদের নজরদারি বৃদ্ধির জন্য এরকমই জানাল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট (Punjab and Haryana High Court)।
শব্দদূষণে (Noise Pollution) দায়ী হবেন কালেক্টর (জেলাশাসক), পুলিশ সুপার। সাফ জানাল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। হরিয়ানা পঞ্জাব এবং চন্ডিগড়ের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের শব্দ দূষণের অভিযোগ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। চালাতে হবে নিয়মিত নজরদারি। দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধি কার্যকর করতে জারি গাইডলাইন অনুসরণ না করলেই ব্যবস্থা নিতে হবে। যে গাইডলাইনে ১৫ দফা নির্দেশাবলী আছে। যেখানে বলা আছে, পরীক্ষার ১৫ দিন আগে থেকে এবং পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব রকমের লাউড স্পিকার চালানোয় নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতেই হবে। নির্দেশ প্রধান বিচারপতি শীল নাগু ও বিচারপতি অনিল ক্ষেত্রপালের।
কোনও নাগরিক অভিযোগ করলে দ্রুত এবং যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন বাধ্য। এই অভিমত দিয়ে আদালত জানিয়েছে, শব্দদূষণ প্রকৃতপক্ষে বায়ু দূষণের ভিন্ন রূপ। তাই ১৯৮১ সালের ‘প্রিভেনশন এন্ড কন্ট্রোল অফ পলিউশন’ আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। পুলিশ এমন অভিযোগ পেয়ে ফৌজদারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা না নিলে নাগরিক ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ জানাতে পারবেন। অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা যাবে। জানিয়েছে আদালত।