কলকাতা: কয়েকটা দিন বাকি দূর্গাপুজোর (Durga Puja 2024)। শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর প্রস্তুতি। পুজোর দিনগুলোতে দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে রেল। পুজোর সময় প্রতিমা দর্শনের জন্য ভিড় থাকবে। প্রতিবছর জেলা থেকে বহু মানুষ কলকাতা আসেন। যাত্রী সুরক্ষায় বিশেষ নজর দিচ্ছে শিয়ালদহ ডিভিশন (Sealdah Division)। শুক্রবার সমস্ত শাখা অফিসারদের সঙ্গে এনিয়ে বৈঠক করেন শিয়ালদহের ডিআরএম। পুজোয় ট্রেনের কোচ সংখ্যা বাড়ানো সহ একগুচ্ছ নয়া পদক্ষেপ পূর্ব রেলের।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি গ্যালোপিং ট্রেন সব স্টেশনে থামবে। ট্রেন চলাচলের দিকে বাড়তি নজর রাখা হবে। ৯ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত শিয়ালদহ স্টেশনে বিকেল ৬টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কোনও ট্রলি চলাচল করবে না। ভিড় যাত্রী সুরক্ষার কথী মাথায় রেখে শিয়ালদহ শাখার বিভিন্ন জায়গায় রেল লাইনের ১০-২০ মিটারের মধ্যে অন্তত ৫০টি পুজো মণ্ডপ রয়েছে। শিয়ালদা, বিধাননগর, দমদম, নৈহাটি, বালিগঞ্জ, সোনারপুর, কাঁচরাপাড়া, ব্যারাকপুর, মাঝেরহাট, কৃষ্ণনগরের মতো স্টেশনে ট্রেন ইন্ডিকেশন বোর্ড ও প্যাসেঞ্জার অ্যাড্রেস ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে মোতায়েন থাকবে আরপিএফ। যাত্রীদের সহায়তায় শিয়ালদা, কলকাতা ও দমদম জংশনের মতো স্টেশনগুলিতে “May I Help you” লেখা বুথ থাকবে। এই বুথ গুলোতে হাসপাতাল, থানা, ফায়ার ব্রিগেডের নম্বর থাকবে। পুজোর সময় এমনিতেই ভিড় বাড়ে সে কথা মাথায় রেখে খোলা হবে শিয়ালদহ স্টেশনে আরও ৫টি টিকিট কাউন্টার। প্রত্যেকটি স্টেশনে বাড়তি লাইট লাগানো হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ১০ কলেজ ছাত্রী সাজিয়ে তুলেছেন দুর্গাপুজোর মণ্ডপ
যাত্রীদের ভিড় সামলাতে মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনে অতিরিক্ত সাধারণ কোচ বাড়ানো হবে। উৎসবের দিনগুলো মহিলা, শিশু ও প্রবীণ নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রেনের জন্য আরপিএফ এসকর্ট থাকবে। রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী বিসর্জনের সময় চক্ররেলের চলাচল সীমিত করা হবে। শিয়ালদহ, দমদম, নৈহাটি, বারাসাতের মতো স্টেশনে কোনও যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিষেবা জন্য থাকবে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। অন্যান্য স্টেশনে থাকবে পর্যাপ্ত ফার্স্ট এইড বক্স।
অন্য খবর দেখুন