ওয়েবডেস্ক- সক্রিয় ইরানের (Iran) বিমান বিধ্বংসী সিস্টেম। আমেরিকার লক-হিড কর্পোরেশনের তৈরি F 35 যুদ্ধ বিমান (Fighter Jet) ভূপাতিত ইরানের পাল্টা মারে। F 35 দুনিয়ার সবচেয়ে উন্নত যুদ্ধবিমান, মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এহেন বিমানকে ধ্বংস করার ঘটনায় খোদ আমেরিকায় (America) যুদ্ধবাজদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
ইরানের সেনাবাহিনীর (আরতেশ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পাইলট বিমান থেকে বেরিয়ে আসার পর তাঁকে আটক করা হয়েছে। এর আগে আরও দুটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান মাটিতে নামানোর দাবি করেছিল তেহরান।এই দুই যুদ্ধবিমানের একজন পাইলট নিহত হয়েছে এবং অন্যজন ধরা পড়েছে। সর্বশেষ মাটিতে নামানো যুদ্ধবিমান থেকেও এক পাইলটকে আটক করা হয়েছে।
গত শুক্রবার ভোররাতে ইরানের পরমাণু স্থাপনা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানা ও আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় বিমান হামলা চালায় ইজরায়েল। ২০০ যুদ্ধবিমান দিয়ে ইরানের বিভিন্ন শহরের ১০০’র বেশি নিশানায় হামলা চালানো হয়। ইজরায়েল এই অভিযানে নাম দিয়েছে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’।
ইহুদি বাহিনীর চালানো এই হামলায় ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি, আইআরজিসির বিমানবাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলি হাজিজাদেহসহ অন্তত ২০ জন কমান্ডার নিহত হয়েছেন। মোট ৭৮ জন নিহত ও ৩০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইজরায়েলের দিকে প্রায় ১০০ ড্রোন পাঠায় ইরান।
আরও পড়ুন- ভেঙে গেল ইরান-আমেরিকা আলোচনা, এবার কী করবেন ট্রাম্প?
এসব ড্রোনের অধিকাংশ ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইজরায়েল। প্রথম হামলার প্রায় ১২ ঘণ্টা পরেই ইরানে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায় ইজরায়েল। পাল্টা জবাবে শুক্রবার গভীর রাতে ইজরায়েক অধিকৃত ভূখণ্ডে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানা হয়। ইজরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু নিশানায় ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ ৩’ নামক অভিযান চালানো হয়েছে। এতে অন্তত তিনজন নিহত ও বহু আহত হয়েছে।
দেখুন ভিডিও –