ঢাকা: গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামি লিগ সরকারের পতন ঘটে। সেই দিন দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে জুলাই থেকেই অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। ছাত্র আন্দোলন ক্রমেই গণঅভ্যুত্থানের রূপ নেয়। এই সময় অনেকেই সেখানে আহত ও নিহত হয়েছিলেন। সেই সময় এক মহিলা তাঁর স্বামীর মৃত্যুর দায়ে শেখ হাসিনা সহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কুলসুম বেগম নামের ওই মহিলা তাঁর স্বামী মহম্মদ আল আমিন মিয়াকে হত্যার অভিযোগ করেন। এই মর্মে তিনি রাজধানী ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি খুনের মামলা দায়ের করেন। জানা গিয়েছে, গত ৮ নভেম্বর মামলাটি ঢাকার আশুলিয়া থানার তদারকিতে তদন্তের জন্য নথিভুক্ত হয়। এরপরই গত মঙ্গলবার ওই মহিলার স্বামী সশরীরে এসে জানান যে, তিনি জীবিত এবং তাঁর স্ত্রী তাঁর নামে ভুয়ো মামলা দায়ের করেছেন। এরপর থেকেই মামলাটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিজবুল্লার কাছে হার মানল ইজরায়েল?
উল্লেখ্য, মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার স্বল্প সিংজুরি বাংগালা গ্রামের বাসিন্দা কুলসুম বেগম জানান যে, গত ৫ আগস্ট তিনি তাঁর স্বামীর খুনের খবর পান। তারপর তিনি জানতে পারেন যে, তাঁর স্বামীর মৃতদেহ ‘বেওয়ারিশ’ ভেবে কবর দিয়ে দিয়েছে পুলিশ। পরে নাকি তিনি ছবি ও ভিডিও দেখে যাচাই করেন যে তাঁর স্বামীকে আদতে খুনই করা হয়েছে। এরপরেই তিনি শেখ হাসিনা সহ ১৩০ জনের নামে এই খুনের মামলা দায়ের করেন। যদিও ওই মহিলার স্বামী দাবি করেন যে, যেদিন এই ঘটনা ঘটে, সেই দিন তিনি মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলায় ছিলেন। সেই কারণে তিনি তাঁর স্ত্রীয়ের নামে ভুয়ো মামলা দায়েরের অভিযোগ তোলেন। তাই এখন হাসিনাকে দেশে ফেরানোর জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যেসব কারণ দেখিয়ে ইন্টারপোলের সাহায্য নিতে ছাইছে, সেইসব কারণের উপর একটা বড় প্রশ্ন তুলে দিল এই ভুয়ো মামলার ঘটনা।
দেখুন আরও খবর: