নয়াদিল্লি: ফের মোদি সরকারের (Modi Government ) বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবে কৃষকরা। ১০১ জন এই কৃষক (Farmer Movement) এই পদযাত্রায় অংশ নেবে। হরিয়ানা ও পঞ্জাবের শম্ভু সীমান্তে থেকে আজ পায়ে হেঁটে তাঁদের যাত্রা শুরু হবে।
জানা গেছে, প্রায় ১০১ জনের একটি দল দিল্লির (Delhi) উদ্দেশে তাঁদের পদযাত্রাকে সফল করে তুলতে পায়ে হেঁটে যাত্রা করবেন। সরকারের কোনও পদক্ষেপে তারা ভীত নয় বলে, স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছে কৃষক সংগঠন। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে রাখা হয়েছে গোটা সীমান্ত এলাকা। হরিয়ানা পুলিশ সহ আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শম্ভু সীমান্তে নতুন করে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জরুরি তলব, ঢাকায় ফিরছেন আগরতলায় বাংলাদেশ ও কলকাতা উপহাইকমিশনের দুই প্রধান
অম্বালা ও খুনরি সীমান্তে বিএনএস-এর ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। এখানে পাঁচ বা তার থেকে বেশি মানুষের জমায়েত হলেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে প্রশাসনের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। এদিকে হরিয়ানা সরকারের কড়া হুঁশিয়ারি কৃষকরা অনুমতি ছাড়া দিল্লি যেতে পারবেন না। এখনও পর্যন্ত কৃষকদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। কৃষক নেতা সারওয়ান সিং পান্ধের বলেন, জানিয়েছেন ১০১ জন কৃষক পায়ে হেঁটে দিল্লির দিকে যাত্রা করবেন, সেই তালিকা আগেই দেওয়া হয়েছে।
কৃষকদের দিল্লি মিছিলের ডাকে সিরসাতেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কৃষকদের আটকাতে ব্যারিকেড বসিয়েছে সিরসা পুলিশ। সিরসার পুলিশ লাইনে কৃষকদের মোকাবিলা করার জন্য পুলিশ কর্মীদের আলাদা প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছিল। হরিয়ানা পুলিশের ছাড়াও মোতায়েন করা হয়েছে বিএসএফ। পঞ্জাব ও রাজস্থান সীমান্তেও আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
মুক চক মোড়ে চার ডিএসপি সহ এক ডজন পরিদর্শক সহ পাঁচশো আধিকারিক মোতায়েন করা হয়েছে। ভারতীয় কিষান একতা-এর সভাপতি লখবিন্দর সিং আউলখ জানান, কৃষকদের দাবি মেনে নেওয়ার পরিবর্তে সরকার রাজ্যে একটা অন্য ধরনের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। ফলে ক্রমশই ক্ষোভ বাড়ছে, এইভাবেই তারা রাগের বহিঃপ্রকাশ করছে। কৃষক সংগঠনের একাধিক দাবি তুলে ধরেছেন।
প্রথমত এমএসপিতে সব ফসল কেনার নিশ্চয়তা দিতে একটি আইন ছাড়াও স্বামীনাথন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ফসলের দাম নির্ধারণ করতে হবে। ডিএপি সারের ঘাটতি দূর করতে হবে। এছাড়াও কৃষক ও খেতমজুরদের ঋণ মুকুব করতে হবে এবং পেনশন দিতে হবে। আন্দোলনে নিহত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ ও সরকারি চাকরি দিয়ে হবে। ২০১৩ ভূমি অধিকার আইন ফের কার্যকর করতে হবে।
লখিমপুর খেরি ঘটনার দোষীদের শাস্তি এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিষিদ্ধ করা উচিত। নকল সার, বীজ ,কীটনাশক সার বিক্রয়ক্রারী কোম্পনির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। লঙ্কা, হলুদ ও অন্যান্য মশলার জন্য একটি জাতীয় কমিশন গঠন সহ আধিবাসীদের কাছ থেকে জমি কেড়ে নেওয়া বন্ধ করতে হবে। ২০২০ বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল বাতিল করতে হবে।
দেখুন অন্য খবর: