নয়াদিল্লি: কংগ্রেসে (Congress) ভাঙন। হাত শিবির ছেড়ে আপ (AAP) দলে যোগদান করলেন পাঁচ বারের বিধায়ক, কংগ্রেস নেতা মতিন আহমেদ (Mateen Ahmed) । ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মতিনের আপ-এ যোগদান ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
দিল্লির সিলামপুর থেকে পাঁচবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন মতিন। ১৯৯৩ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দিল্লি বিধানসভার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এই অঞ্চলে তিনি একজন প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত। আহমেদ পুত্র সহ তাঁর পুত্রবধূ আগেই আপে যোগদান করেন।
আহমেদের ছেলে সিলামপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ঝাড়খণ্ডকে লুটছে সোরেন সরকার’, বোকারোর সভা থেকে তীব্র আক্রমণ মোদির
দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল মতিন সাহেবের দলে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। কেজরি বলেন, দিল্লির রাজনীতিতে চৌধুরী সাহেব একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ বলেই পরিচিত। আম আদমি পার্টি তাঁর কাজের সঙ্গে পরিচিত। চৌধুরী সাহেব তাঁর নিজের প্রচেষ্টার মাধ্যমে রাজনীতিতে এই জায়গাটি তৈরি করেছেন।
আহমেদের ছেলে চৌধুরী জুবায়ের আহমেদ, এবং তার স্ত্রী, সাগুফতা চৌধুরী, একজন কংগ্রেস কাউন্সিলর। অক্টোবরে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টিতে (এএপি) যোগদান করেছিলেন।আপ ২০১৫ সালে এবং ২০২৩ সালে উভয় নির্বাচনেই সিলামপুর বিধানসভা থেকে আসন জিতেছিল, ২০১৫ সালে মোহাম্মদ ইশরাক এবং ২০২০ সালে আবদুল রেহমান জয়ী হয়েছিলেন।
১৯৯৩ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত চৌধুরী মতিন আহমেদ জনতা দল সহ বিভিন্ন নির্বাচনী দলের ব্যানারে স্বাধীন প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। পরে কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনে লড়াই করেন। প্রতিটি নির্বাচনেই জয়ী হন তিনি। রাজনৈতিক মহলের মতে, মতিন সাহেব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশেষ পরিচিত ছিলেন। ভোটের মুখে মতিন সাহেবের হাত শিবির ছেড়ে আপে যোগদান ভোট বাক্সে প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেখুন অন্য খবর: