কাঁকসা: অক্সিজেনের অভাবে (Lack of Oxygen) মৃত্যু হল প্রাক্তন রেলকর্মীর। হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ পরিবারের। ঘটনাকে ঘিরে বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তেজনা ছড়ায় পানাগড় স্টেশন সংলগ্ন রেল হাসপাতালে। মৃতের নাম অমূল্য দাস। বয়স ৭৭ বছর। মৃতের পরিবারের অভিযোগ সকালে অমূল্য দাস অসুস্থ বোধ করায় তাকে পানাগড় রেলস্টেশন সংলগ্ন রেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার কথা জানায় হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ। অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়ার সময় অক্সিজেনের সিলিন্ডারে শেষ হয়ে যায়। অক্সিজেন ছাড়া দীর্ঘ পথ যাওয়ার পর দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে অমূল্য দাসকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
পানাগড়ের বাসিন্দা অমূল্য দাস, তিনি অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী। বৃহস্পতিবার দুপুরে আচমাই অসুস্থ বোধ করেন। তড়িঘড়ি পানাগড় রেলস্টেশন সংলগ্ন রেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর পরিবারকে জানানো হয় অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার জন্য। হাসপাতাল থেকে পরিবারকে বলা হয়, আসানসোল থেকে অ্যাম্বুল্যান্স আসার পর সেই তাকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হবে। সেইমতো আসানসোল থেকে অ্যাম্বুল্যান্স আসার পর সেই অ্যাম্বুল্যান্সে অসুস্থ অবস্থায় অমূল্য দাসকে দুর্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া হয়।কিন্তু পানাগড়ের দার্জিলিং মোড়ে অক্সিজেনের সিলিন্ডারে শেষ হয়ে গিয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সের চালককে এই বিষয়ে জানানো হলে অ্যাম্বুলেন্সের চালক বলেন ভগবানের নাম নিয়ে চলুন কিছুই হবে না। এরপর এম্বুলেন্সে করে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অমূল্য দাসকে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সিভিক ভলান্টিয়াররা পাবেন ৫ লক্ষ টাকা!
পরিবারের অভিযোগ অ্যাম্বুল্যান্সে তোলার সময় তারা রেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং নার্সকে অ্যাম্বুল্যান্সে সিলিন্ডারে অক্সিজেন আছে কিনা সেই বিষয়ে বারবার জিজ্ঞাসা করা হলে সব ঠিকঠাক আছে বলে। পরিবারের অভিযোগ যদি সব ঠিকই থাকে তবে পানাগড় থেকে বেরোনোর আগেই অক্সিজেনের সিলিন্ডারে অক্সিজেন কিভাবে শেষ হয়ে যায়। শুধুমাত্র অক্সিজেনের অভাবে একজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্যরা ও এলাকাবাসী। যদিও এই বিষয়ে হাসপাতালের তরফ থেকে কোনরকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
অন্য খবর দেখুন