ঢাকা: জ্বলছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত্যু হল ৬৬ জন আন্দোলনকারীর। মৃত ১৪ পুলিশকর্মী। আহতের সংখ্যা কয়েকশো। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে। পথে ছাত্রছাত্রী, যুবসমাজ। তাঁদের দাবি, শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ। রবিবার থেকে শুরু হওয়া যুব সমাজের অসহযোগ আন্দোলন ঘিরে নতুন করে অশান্তির সূত্রপাত। অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয় কোটা বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত প্রতিবাদীরা। এই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ডাকা বিক্ষোভ ঘিরে একাধিক জায়গায় সংঘর্ষ (Clash)। শাসকদল আওয়ামি লীগের কর্মী, পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ। ইন্টারনেট বন্ধ দেশজুড়ে। আন্দোলনে নিহতদের দেহ নিয়ে বিক্ষোভ একাধিক জায়গায়। পথ অবরোধ করা হয় দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া গাড়িতে, বিভিন্ন অফিসে। গত জানুয়ারিতে চতুর্থবার ক্ষমতায় আসা শেখ হাসিনা সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই আন্দোলনকারীরা।
বাংলাদেশের নরসিংদী, ফেনি, সিরাজগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ঢাকা, বগুড়া, মুন্সিগঞ্জ, মাগুরা, ভোলা, রংপুর, পাবনা, সিলেট, কুমিল্লা, জয়পুরহাট, বরিশাল সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে মৃত্যুর খবর সামনে আসছে। এদিন সন্ধ্যা থেকে অনির্দিষ্টকালীন কার্ফু ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকার সোমবার থেকে তিন দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে। আহতদের শুশ্রুষা চলছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেও বিক্ষোভ দেখিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে থাকা্ ভারতীয়দের সতর্ক থাকতে বলল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধি যুবককে মারধরের অভিযোগ বিজেপি কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে
আরও খবর দেখুন