ওয়েব ডেস্ক : গাজার জাবালিয়া উদ্বাস্তু শিবিরে ইজরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৩ জন শিশু রয়েছে। রবিবার সকালে ইজরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়, যা শিবিরে আশ্রয় নেওয়া বহু মানুষকে হতাহত করেছে। নিহতদের মধ্যে এক পরিবারের মা-বাবা, সন্তান, নাতি-নাতনিরাও রয়েছেন। শিবিরটি গাজার উত্তরাংশ থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আসা মানুষের আশ্রয়স্থল ছিল।
এসময়, ইজরায়েলি বিমান পূর্বসতর্কতা ছাড়াই শিবিরের একটি ভবনে হামলা করে। স্থানীয়দের মতে, ভবনটির মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও নারী ছিলেন, যারা আগের গেরিলা আক্রমণ থেকে বাঁচতে এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। হামলার পর অনেকেই ভবনের ভেতরে চাপা পড়ে নিহত হন, এবং স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এসব মানুষ বেশিরভাগ সময় নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য এখানে এসেছিলেন।
এই ঘটনায় গাজার বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা আরও খারাপ অবস্থায় চলে এসেছে। গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে শিবিরে আশ্রিত মানুষগুলো ইজরায়েলের বোমা হামলার কবলে পড়ে প্রাণ হারাচ্ছে। সুতরাং, এটি ইজরায়েলি হামলার এক ভয়াবহ দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেউ সাহায্য পাচ্ছে না।
আরও পড়ুন : ট্রাম্প ফিরতেই ‘প্রধানমন্ত্রী’ শেখ হাসিনা!
গাজার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে যখন কাতার যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টায় সাময়িকভাবে বিরতি ঘোষণা করেছে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় তারা এখন মধ্যস্থতার কাজ সাময়িকভাবে স্থগিত করছে। তারা স্পষ্টভাবে জানায়, এই প্রচেষ্টা তখনই পুনরায় শুরু হবে, যখন সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো তাদের সদিচ্ছা দেখাবে।
কাতার আরও উল্লেখ করেছে, চলমান মধ্যস্থতা প্রচেষ্টাকে যদি রাজনৈতিক স্বার্থে অপব্যবহার করা হয়, তবে তারা তা মেনে নেবে না। কাতারের মতে, এই যুদ্ধের বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা এবং সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চলমান মধ্যস্থতা ব্যবহৃত হচ্ছে। গাজার মানুষের দুর্দশা এবং যুদ্ধের অবসানে কাতারের অবস্থান পরিষ্কার হয়েছে, তবে তারা এ ব্যাপারে আরও কিছু বলছে না।
এদিকে, হামাসের নেতাদের সম্পর্কে কাতারের কাছে কোনও নতুন নির্দেশনা পৌঁছায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে হামাসের নেতাদের সরানোর আহ্বান জানানো হলেও, কাতার হামাসের নেতাদেরকে স্বাগত জানাবে না, এমন কোনো বার্তা হামাসকে দেয়নি।
দেখুন আরও খবর :