কলকাতাঃ ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যালকোহলের উপর কর চাপাতে পারে সরকার, রায় দিল সুপ্রিম কোর্টের নয় বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সংবিধান অনুযায়ী, নেশাজাত তরলের মধ্যে কেবল পানযোগ্য বা বহনযোগ্য অ্যালকোহল নয়। জনস্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে এমন সব ধরনের অ্যালকোহলকে একই তালিকার অন্তর্ভুক্ত রাখতে হবে। সাধারণত, উপাদানের ভিত্তিতে অ্যালকোহলিক তরলকে চিহ্নিত করা হয়। সেই তরল দ্বারা নেশা হলে সেটি ‘ইনটকসিকেটিং’ হিসেবে চিহ্নিত হবে। তাই অ্যালকোহলিক যে তরল দ্বারা নেশা হয়, সেটি নেশাজনক হিসেবেই বিবেচিত হবে। অভিমত নয় বিচারপতির মধ্যে আট জনের।
শিল্পের জন্য তৈরি অ্যালকোহল এবং স্পিরিট কেনাবেচা সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে কি? এই তরলের অপর সরকার কর চাপাতে পারে কি? সেই ক্ষমতা তার আছে? এ নিয়ে হয় মামলার সুত্রপাত।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে বিজেপি ছেড়ে শরদ পওয়ারের এনসিপিতে যোগ বিধায়কের
সিন্থেটিকস এন্ড কেমিক্যালস লিমিটেড বনাম উত্তর প্রদেশ সরকারের এক মামলায় ১৯৯০ সালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, পানযোগ্য অ্যালকোহলকেই শুধুমাত্র নেশাজনক তরল বলা যাবে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যালকোহলের ওপর সরকার কর আরোপ করতে পারে না। ২০০৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ১৯৯০ সালে ওই রায় দেওয়ার সময় এই আদালত ১৯৫৬ সালে ৫ বিচারপতির দেওয়া সিএইচ টিকা রামজি বনাম উত্তর প্রদেশ মামলার রায়কে অস্বীকার করেছে।
সেই সূত্রে ২০১০ সালের 8 ডিসেম্বর বিতর্কটি ৯ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে স্থানান্তরিত হয়। প্রসঙ্গত, জিএসটি পরবর্তী করব্যবস্থার এই সময়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যালকোহলের ওপর কর চাপানোর অধিকার তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিভিন্ন রাজ্য এই মামলায় সওয়াল করে।
দেখুন আরও খবর: