কলকাতা: এসএমএস করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী অরূপ রায় (Minister Arup Roy) ও শাসকদলের স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে জলা ভরাট নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন এক তৃণমূল কর্মী। সেই অপরাধে কোনও অভিযোগ না করা সত্ত্বেও গ্রেফতার করা হয় শাহিন ওরফে এরশাদ সুলতান নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের হয়। এই মামলায় শাহিনকে বুধবারই বিকেল ৫ টার মধ্যে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Calcutta HC Justice Amrita Sinha)। আদালতের পর্যবেক্ষণ, একজন ব্যক্তির স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে পুলিশ। নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে তারা কাজ করছে। তাই আজই বিকেল ৫ টার মধ্যে ওই ব্যক্তিকে জেল থেকে মুক্তি দিতে হবে।
সুলতানকে গ্রেফতারের পদ্ধতি নিয়েও পুলিশ আর পরিবারের লোকজন দুরকম তথ্য জানিয়েছে। রাজ্যের আইনজীবীর দাবি, ৩০ জুন তাঁকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথমে তাঁকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। তিনি হাজিরা না দেওয়ায় তাঁকে বাড়ি থেকে দুদিন পরে গ্রেফতার করা হয়। অথচ ধৃতের পরিবারের অভিযোগ, নোটিস পেয়ে থানায় গেলে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রেখে পরে গ্রেফতার করা হয়। আদালতের নির্দেশ, ৩০ জুনের শিবপুর থানার সারা দিনের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়েও বহাল তবিয়তে চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক
বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে কেউ কোনও অভিযোগ করলে বা নাগরিক তাঁর ক্ষোভ জানালে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে? যাঁর বিরুদ্ধে বলেছেন, সেই অরূপ রায় কি অভিযোগ করেছেন? এটা একেবারেই ব্যক্তি স্বাধীনতায় পুলিশের নাক গলানো। যেখানে তাদের ঢোকার কোনও এক্তিয়ার ছিল না। দুজনের মধ্যে গোলমাল বা কাদা ছোড়াছুড়ি হল, আর তৃতীয় ব্যক্তি অভিযোগ জানানোয় একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করল। এটা আইন?
অন্য খবর দেখুন