কলকাতা: সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ধারাবাহিক নির্যাতন, ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণদাসের গ্রেফতারী এবং সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার ফলে তলানিতে ঠেকেছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক। এরই মধ্যে ভারতের সীমান্তে সেনা মোতায়েন এবং ভয়ঙ্কর সব অস্ত্র নিয়ে মহড়া, দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েনকে আরও জটিল করে তুলেছে। সূত্রের খবর, উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম ও মণিপুর সীমান্তে ভারতীয় সেনার বিপুল উপস্থিতি বাংলাদেশ সরকারের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। চট্টগ্রাম সীমান্তের কাছাকাছি প্রায় ৩৫,০০০ সেনা মোতায়েনের পাশাপাশি পিনাকা গাইডেড মিসাইল প্রস্তুত রাখার বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলেও চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। এই বিষয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর মন্তব্য পরিস্থিতিকে আরও গম্ভীর করে তুলেছে।
আরও পড়ুন: ‘পতাকার চেয়ে বড়…’, বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কী লিখলেন কবীর সুমন?
এদিকে ইউনুস সরকারের কড়া পদক্ষেপে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের ভারতে আসার সমস্ত পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের জীবন দিন দিন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের সরকার সামরিক হস্তক্ষেপের আশঙ্কায় চাপে থাকলেও প্রকাশ্যে তা অস্বীকার করেছে। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ভারতের সাম্প্রতিক পাকিস্তান ও মায়ানমার অভিযানের উদাহরণ টেনে সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা চলছে। কূটনীতিক মহল মনে করছে, ভারত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে। তবে সামরিক হস্তক্ষেপ আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছেই। দুই দেশের সম্পর্কের এই তীব্র টানাপোড়েনে দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এখন সময়ই বলে দেবে এই উত্তেজনা কীভাবে কমবে। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি বাংলাদেশের জন্য যে অশনি সংকেত বহন করছে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।