কলকাতা: রবিবার রথযাত্রা (Rath Yatra 2024)। শ্রীক্ষেত্র সহ সাড়া দেশজুড়ে সাড়ম্বরে পালিত হবে প্রভু জগন্নাথের রথযাত্রা (Jagannath Rath Yatra 2024) । জ্যৈষ্ট মাসের পূর্ণিমা তিথিতে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা উৎসব পালন করা হয়। রথে চড়ে বোন সুভদ্রা ও দাদা বলরামকে সঙ্গে নিয়ে মাসির বাড়ি রওনা দেবেন জগন্নাথদেব৷ শ্রীক্ষেত্রে সাজো সাজো রব, শুরু হয়েছে ভক্তদের সমাগম। এইদিন সকল ভক্তের মাঝেই বিরাজ করেন। জগন্নাথের বিশেষ পুজো থেকে শুরু করে ভোগ-উপাচার, একাধিক ক্ষেত্রেই মানা হয় নানাবিধ নিয়ম। কথিত আছে, শ্রীকৃষ্ণের হৃদয় জগন্নাথের মূর্তির মধ্যে স্পন্দিত হয়। পুরীতে দেবী বিমলাকে ভগবান জগন্নাথের মতো পুজো করা হয়। জগন্নাথদেব এবং দেবী বিমলার মধ্যে গভীর সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে, দেবীকে নিবেদন না করলে ভগবান জগন্নাথদেব প্রসাদের স্বাদ নেন না।
জগন্নাথের নৈবেদ্য সবচেয়ে বিশেষ বলে মনে করা হয়। শ্রীক্ষেত্রে ভগবান বিষ্ণুর খাবার খাওয়ার বিশ্বাসের কারণে এখানকার ‘মহাভোগ’ মহাপ্রসাদ নামে বিখ্যাত। পাশাপাশি পুরীর মন্দিরে দেবী বিমলা অধিষ্ঠান করেন। মন্দির চত্বরেই রয়েছে বিমলা শক্তিপীঠ। দেবী বিমলাকে মাতা সতী-র আদি শক্তি রূপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। জগন্নাথকে দেওয়া ভোগ দেবী বিমলাকে নিবেদনের পরেই জগন্নাথ গ্রহণ করেন। কথিত আছে, লক্ষ্মী নিজেই ভগবান জগন্নাথ অর্থাৎ বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে নৈবেদ্য প্রস্তুত করতেন। পুরীর মন্দিরে প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয় ৫৬ রকমের ভোগ। মুড়ি, নারকেল নাড়ু ,খোয়া ক্ষীর, শুকনো খিচুড়ি, হামসা কেলি, ঝিলি, মাথা পুলি-সহ বিভিন্ন খাবার থাকে এই ভোগের মধ্যে।
আরও পড়ুন:রথযাত্রার দিন মেনে চলুন এই নিয়মগুলি
পুরীর মন্দিরে প্রতিদিন দুপুরে দেওয়া হয় বেসর। মূলত বরবটি, কুমড়ো, কাঁচকলা, রাঙা আলু, পটল দিয়ে বানানো হয় এই পদটি। জগন্নাথ-পাতে স্থান পায়, সুগন্ধী ভাত, আমালু অর্থাৎ মিষ্টি লুচি, শুকনো খিচুড়ি, অন্ন, ঘি-ভাত, ডাল, দই, উকখুড়া অর্থাৎ মুড়ি, মনোহরা মিষ্টি, মাগাজা লাড্ডু, নাড়িয়া কোড়া অর্থাৎ নারকেল নাড়ু, পানা, বিসার অর্থাৎ সবজি, খুয়া অর্থাৎ খোয়া ক্ষীর, মাহুর অর্থাৎ লাবরা, সাগা নাড়িয়া, পাচিলা কাঁদালি অর্থাৎ টুকরো টুকরো কলা, পুলি পিঠে। একাধিক কেকের পদ। মেন্ধা মুন্ডিয়া অর্থাৎ বিশেষ ধরনের কেক, বড়া কান্তি অর্থাৎ বড় কেক, হামসা কেলি অর্থাৎ মিষ্টি কেক, ঝিলি অর্থাৎ এক ধরণের প্যান কেক, এন্ডুরি অর্থাৎ নারকেল দিয়ে তৈরি কেক। আদা দিয়ে তৈরি চাটনি, লঙ্কার লাড্ডু, কছোট্ট পিঠে, দুধ তৈরি মিষ্টি, আরিশা অর্থাৎ ভাত দিয়ে তৈরি মিষ্টি, বোঁদে, মনোহার মিষ্টি, ভাগ পিঠে, গোটাই অর্থাৎ নিমকি, পদ্ম কানজি-সহ একাধিক পদ। সঙ্কুড়ি, সুখিলা আর নির্মাল্য, এই তিন প্রকারের অন্দরে থাকে ৫৬ ভোগের নানা পদ।
অন্য খবর দেখুন