নয়াদিল্লি: ইজরায়েলের (Israel) হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত বলে জানাল হিজবুল্লাহ (Hezbollah)। হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তাদের শীর্ষ নেতার মৃত্যু হলেও হাজার হাজার যোদ্ধা রয়েছে যারা প্রতিশোধ নিতে উন্মুখ। আছে সমৃদ্ধ অস্ত্রভাণ্ডারও। এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা খামেইনির দাবি, শীঘ্রই হিজবুল্লার নেতা নাসারুল্লার জায়গা পূরণ করে লড়াই চালানো হবে। হিজবুল্লাহর শক্ত কাঠামোর বড় কোনও ক্ষতির সামর্থ্য নেই ইজরায়েলের। তারা হিজবুল্লাহর সঙ্গে রয়েছে। সমর্থন দিয়ে যাবে। ইজরায়েল রুখতে পারবে না মধ্যপ্রাচ্যের সশস্ত্র যোদ্ধাদের।
২৯ সেপ্টেম্বর ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, ইজরায়েলে হামলার জন্য প্যালেস্তাইনের দুই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। নির্যাতিত প্যালেস্তাইনের জনগণের সঙ্গে সংহতি জানানো ও গাজা ও লেবাননে ইজরায়েলের হামলার প্রতিবাদে এটা করা হয়েছে। গাজা ও লেবাননের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ হলে তবেই তাদের অভিযান বন্ধ হবে বলে জানাল ইয়েমেন। ইজরায়েলের বিমান হামলায় লেবাননে হিজবুল্লাহর সর্বোচ্চ নেতা নাসারুল্লার মৃত্যুর একদিন পর এই হামলা চালাল ইয়েমেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণসভার বার্ষিক অধিবেশনে যোগ দিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, যতক্ষণ না আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছচ্ছি আমরা থামব না। ওই অধিবেশনে লেবাননের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা বাউহাবিব রষ্ট্রপুঞ্জের কাছে যুদ্ধবিরতির আর্জি জানান। উল্লেখ্য, পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফেরাতে বুধবারই ইজরায়েলকে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল আমেরিকা, ফ্রান্স সহ পশ্চিমের দেশগুলি।
আরও পড়ুন: বোমাবর্ষণে নিহত হিজবুল্লা প্রধান নাসরাল্লার, দাবি ইজরায়েলের
আরও খবর দেখুন