কলকাতা: এক প্রোমোটারকে বাঁচাতে নিউ টাউনের (New Town) আই সির (IC) ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট (High Court)। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিল আদালত। অপরদিকে অন্য একটি মামলায় নারায়ণপুর থানার এলাকার একটি জমির দখল আটকাতে মালিক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
তার রাজারহাটের (Rajarhat) বাড়িতে গিয়ে থানা পদক্ষেপ না করায় না করে হাইকোর্টকে বিভ্রান্ত করার জন্য তিরস্কার আদালতের। সরকারি কৌঁসুলিকে বিচারপতির সতর্কতা এমন আইসি র এমন গুরুত্বপূর্ণ থানার দায়িত্বে থাকার কোনও অধিকার নেই। তাকে সরিয়ে দিতে বলুন। না হলে কোর্ট সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেবে।
দুটি ঘটনাতেই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ প্রোমোটার বা জমি মাফিয়াদের পক্ষ নিয়ে পুলিশের পদক্ষেপের চূড়ান্ত সমালোচনা করে।
বিধাননগর পুলিশ কমিশনারকে আদালতের নির্দেশ, নিউ টাউনের আইসি র বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ করে সেই ব্যাপারে আগামী শুনানিতে জানাতে হবে আদালতকে। একইসঙ্গে আগামী দিনে বিভাগীয় ডিসি কে মামলাকারির অভিযোগের তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে।
আরও পড়ুন:ঘাটালে ৪৬ জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা গায়েব
অন্য একটি মামলায় বিধাননগরের নারায়ণ পুর থানা এলাকার তিন কাটা জমি হঠাৎ দখল হয়ে যায়। সেই জমিতে বোর্ড লাগিয়ে জমি বিক্রি নেই বলে রটিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে রাতারাতি সাইকেল গ্যারেজ হয়ে যায়। জমির মালিক বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর, হুমকি দিয়ে এলাকা ছাড়া করা হয়। তিনি বিষয়টি নিয়ে নারায়ণ পুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এবার বেশ কিছু দুষ্কৃতী রাজারহাট থানা এলাকায় তার বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। সেই ঘটনায় রাজারহাট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
আবার হামলাকারীদের তরফে পাল্টা অভিযোগ দায়ের হয়। হাইকোর্টে মামলা করেন জমির মালিক। সেখানে পুলিশ ম্যামলাকারীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ হয়েছে, দুবার সেই তদন্ত রিপোর্ট হাইকোর্টে পেশ করে। তাতেই বিরক্ত হাইকোর্ট নতুন করে রিপোর্ট তলব করে ওই আইসি র বিরুদ্ধে পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেয়।
দেখুন অন্য খবর: