কলকাতা: রাজ্যের ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্তদের বিদেশযাত্রা নিয়ে পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষকে গত এক বছরে রাজ্য থেকে কতজন অপরাধী বিদেশে গেছেন তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা পেশ করতে কড়া নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি, কতজনের বিদেশযাত্রা আটকানো হয়েছে, তার সুনির্দিষ্ট তালিকা হলফনামা আকারে পেশ করতেও বলা হয়েছে। অপরাধীর নাম, তাদের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ, এবং তারা কোন দেশে গেছেন, এমন তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষকে ১৫ দিনের মধ্যে এই রিপোর্ট পেশ করতে হবে। হাইকোর্ট স্পষ্ট করে জানিয়েছে, তথ্য গোপন করলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আরজি করের প্রতিবাদী মুখ, জুনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে ভুয়ো ডিগ্রি ব্যবহারের অভিযোগ
সম্প্রতি একটি প্রেমিক যুগলের মামলায় পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রেমিকার আমেরিকা যাত্রা আটকে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। হাইকোর্টে দাখিল করা মামলায় প্রেমিকা দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও গুরুতর অভিযোগ নেই। অথচ অনেক বড় অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও অন্য অভিযুক্তরা বিদেশে যেতে পেরেছেন। এই মামলায় বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, “ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত অনেকেই গুরুতর অপরাধের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন। অথচ এই মামলায় পাসপোর্ট বাজেয়াপ্তের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এটা স্বাভাবিক নয়।” বিচারপতি সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন, পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ কেন ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ নিচ্ছে? এক্ষেত্রে প্রেমিকার ভিসা অনুমতি চাওয়া কি কোনো অপরাধ? কেন এই ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে? হাইকোর্টের এই নির্দেশ পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকলাপ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছে।
দেখুন আরও খবর: