নয়াদিল্লি: কর্নাটকে (Karnatak) Honey Trap-এর অভিযোগে শীর্ষ আদালতে (Suprme Court) মামলা। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হল পিআইএল (PLI ) বা জনস্বার্থ মামলা। জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি।
প্রধান বিচারপতি (Supreme Court Chief Justice) জানালেন আগামীকাল, মঙ্গলবারই শুনানি। কর্নাটকের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও মন্ত্রী রাজান্না বিধানসভায় অভিযোগ করেছেন, তাঁকে Honey Trap-এ জড়ানোর চেষ্টা হয়েছে।
রাজান্নার (Rajanna) অভিযোগ, কর্নাটক ও সারা দেশে ৪৮ জন রাজনীতিককে Honey Trap-এ জড়ানো হয়েছে। কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর (Home Minister G. Parameshwara) বিধানসভায় (Assemble) বলেছেন, এ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হবে।
আরও পড়ুন: গোধরা পরবর্তী কাণ্ডে অভিযুক্ত ছয়জনকে মুক্তি সুপ্রিম কোর্টের
পরমেশ্বর বলেছেন, এই কলঙ্ক থেকে মুক্ত হতে হবে। মন্ত্রী রাজান্না বিধানসভায় জানান, তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন।
২১ মার্চ এই নিয়ে বিধানসভায় প্রবল হট্টগোল হয়। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে বিজেপির ১৮ জন বিধায়ককে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করেছেন কর্নাটক বিধানসভার অধ্যক্ষ।
বিজেপি নেতা তথা কর্ণাটকের বিরোধী দলনেতা বলেছেন, সে রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারই Honey Trap-এর প্রধান হোতা। বিজেপি Honey Trap-কাণ্ডে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছে। Honey Trap অভিযোগে উত্তাল কর্নাটকের রাজনীতি।
আজ, সোমবার কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে দেখা করে পরিস্থিতি রিপোর্ট করেছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।
উল্লেখ্য, কর্নাটকের রাজনীতিতে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে হানি ট্র্যাপ নিয়ে। যেখানে কর্নাটকের মন্ত্রী কেএন রাজন্নার এক বিস্ফোরক দাবি, কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৪৮ জন রাজনীতিবিদ হানি ট্র্যাপে আছেন। শুক্রবারও বিধানসভা অধিবেশনে এই বিষয়টি নিয়ে হট্টগোল চলে। বিজেপি মন্ত্রীরা প্রচুর বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন, স্পিকারের চেয়ারের সামনে কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলেন। অধিবেশন মুলতবি করা হয়। বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া তাঁর সরকারের পক্ষ নিয়ে বলেন, হানি ট্র্যাপে কাউকে রক্ষা করার কোনও প্রশ্নই নেই। এই মামলায় কাউকে রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। আইন অনুযায়ী, দোষীদের শাস্তি দেওয়া উচিত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উত্তরে বলেন, রাজন্না অভিযোগ করলে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা হবে। রাজন্না কারও নাম উল্লেখ করেননি, কারও নাম উল্লেখ করলে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
দেখুন অন্য খবর: