কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট (Polygraph Test) বা লাই ডিটেক্টর পরীক্ষা করবে সিবিআই (CBI)। একইসঙ্গে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও আরও চার ডাক্তারের পলিগ্রাফ পরীক্ষা (Polygraph Test) করা হবে বলে জানা গিয়েছে। আরজি করের রহস্যের কিনারা করতে সবার মধ্যে আলোচনা হচ্ছে এখন এই পলিগ্রাফ টেস্ট নিয়ে।
কীভাবে হয় এই টেস্ট? জানা গিয়েছে, পলিগ্রাফ টেস্ট যেখানে করা হয় সেখানে একজন ফরেন্সিক সাইকো ফিজিওলজিস্ট হাজির থাকেন। তিনি পরীক্ষাটি মনিটরিং করেন। পলিগ্রাফ টেস্ট করতে আটটা আলাদা আলাদা ডিভাইস প্রয়োজন হয়। গ্যালভানোগ্রাফ ডানহাতে লাগানো হয়। এপরপর হচ্ছে নিউমনোগ্রাফ। যা আপার চেস্ট ও আপার অ্যাবডোমিনালের একটি নির্দিষ্ট অংশে লাগানো থাকে। কার্ডিয়ো সিগমোগ্রাফ। যেটা বাঁ হাতে লাগানো থাকে। ইলেকট্রোডার্মার সেন্সর বাম হাতের তালুতে লাগানো থাকে। এছাড়া সেন্সর পার্ট। যেটা শরীরের পাঁচটা জায়গায় লাগানো থাকে। থাকে ক্যামেরা। যেটা ভিডিও ক্যামেরা করার সঙ্গে সঙ্গে মুখের ঊষ্ণতা মাপে।
আরও পড়ুন: আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিল করায় হুমকি পোস্টার স্কুলে
পলিগ্রাফ টেস্টে তিনটি ভাগে প্রশ্ন করা হয়। কন্ট্রোল কোয়েশ্চেন্স, রেলেভ্যান্ট কোয়েশ্চেনস, কমপ্যারিজন কোয়েশ্চেন্স। কন্ট্রোল কোয়েশ্চেনে সহজ প্রশ্ন করা হয়। যাতে অভিযুক্তের শরীরে গতিবিধি ধরা পড়ে। রেলেভ্যান্ট কোয়েশ্চেনে মিথ্যা বললে লাই ডিটেক্টরে ধরা পড়ে।
কেউ মিথ্যা বললে আঙুলে থাকা ছিদ্রের মাধ্যমে ঘাম বের হয়। তাতে সোডিয়াম সামান্য পরিমাণ বিদ্যুত তৈরি করে পলিগ্রাফ ডিভাইসে একটি সিগন্যাল পাঠায়। সেখান থেকে সোজা ল্যাপটপে কেকেএল মোডে সেটাকে শো করে।
নিউমোগ্রাফ ডিভাইসে হাওয়া ভরা থাকে। এটা বুকে লাগানো থাকে। মিথ্যা বললে নিঃশ্বাসে কম বেশি তারতম্য হবে। তাতে ওই পাইপে এয়ারপ্রেশারে পরিবর্তন হবে। একইভাবে ওই সিগন্যাল পলিগ্রাফ ডিভাইস হয়ে ল্যাপটপে ডাক্তারকে গ্রাফিক্যাল মোডে শো করবে।
বাঁহাতের তালুতে লাগানো থাকে ইলেক্ট্রোডার্মাল সেন্সর এটা লো ভোল্টেজকে চামড়ায় দিতে থাকে। মিথ্যা কথা বললে যে ঘাম আসবে তাতে একটা সিগন্যাল ধরা পড়বে। মানুষের রেসপন্সকে শো করে। সেটাই ধরা পড়ে।
কার্ডিওসিগমোগ্রাফ। এটা রক্তচাপ স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক সেটা ধরা পড়ে। অ্যাক্টিভিটি সেন্সর প্যাড। এটা সাধারণত মাংসপেশীর সঞ্চালনকে রেকর্ড করে। লাইডিটেক্টর টেস্ট একজন অপরাধীর মানসিক চাপ ও স্নায়ুতন্ত্র মাপার একটি প্রক্রিয়া।
আরও খবর দেখুন