কলকাতা: সস্তায় প্রোটিনের চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে ডিমের জুড়ি মেলা ভার। ডাক্তাররা বলেন, রোজ অন্তত একটি করে সেদ্ধ ডিম খেলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হবে না। সেই কারণে, মধ্যবিত্তদের কাছে পুষ্টিসম্মত খাবারের তালিকায় ডিম রাখা হয়। তবে ডিসেম্বর শুরু হতেই খাবার থাকা সাজাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মধ্যবিত্তদের। কারণ শীতের শুরুতেই ডিমের দামে আগুন লেগেছে। সোমবার কলকাতার বিভিন্ন বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে ৮ টাকা প্রতি পিস দরে। এছাড়াও, এদিন দেশি মুরগির ডিমের দাম ছিল প্রতি পিসে ১৪ টাকা। সবথেকে বেশি দামি বিক্রি হয়েছে হাঁসের ডিম। প্রতি পিস ১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে হাঁসের ডিম।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেও জেলমুক্তি নয়! নেপথ্যে অয়ন শীলের পুনঃগ্রেফতারি?
নাভিশ্বাস উঠলেও একপ্রকার বাধ্য হয়েই ডিম কিনছেন ক্রেতারা। কারণ, শীতকালে ডিম খাওয়া জরুরি। শরীরে প্রোটিনের মাত্রা বজায় রাখার জন্য এই সময়ে বেশি করে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তাই দাম বাড়লেও শরীরকে চাঙ্গা রাখতে ডিম কিনছেন ক্রেতারা। এদিকে বিক্রেতাদের মতে, সাধারণত প্রতি বছরই এই সময় ডিমের দাম বৃদ্ধি পায়। এর নেপথ্যে অনেকেই বড়দিনকে দায়ী করেন। কারণ, এই সময় প্রচুর কেক তৈরি হয়। আর কেক তৈরিতে ডিম লাগে। আবার অনেকের মতে, শীতকালে ডিমের আমদানি কম হয়। সেই কারণে অগ্নিমূল্য হয় ডিম। তবে, এবছরের মূল্যবৃদ্ধিকে ‘অস্বাভাবিক’ বলে দাবি করছেন বিক্রেতারাও।
দেখুন আরও খবর: