নয়াদিল্লি: ৫০ লক্ষ সদস্য না হলে দিল্লিতে আসবেন না, রাজ্য নেতৃত্বকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল। এখন পর্যন্ত খবর, ১৩ দিনে দশ লক্ষ মতন সদস্য সংগ্রহ হয়েছে। দশ তারিখ রাজ্যজুড়ে মেগা সদস্য সংগ্রহ অভিযানে ৭৪ হাজার সদস্য এক দিনে হয়েছে। এদিকে কিভাবে এক কোটি সদস্য সংগ্রহ হবে তা নিয়ে চিন্তায় রাজ্য নেতারা। তাই আবারও মেগা অভিযান করতে চাইছে ১৭ নভেম্বর অথবা ২০ তারিখ।
তবে নভেম্বর মাসের মধ্যে লক্ষ্যপূরণ না হলে প্রয়োজনে আরও কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে এক কোটির লক্ষ্য তাঁরা টপকে যাবেন বলে আশা করছে রাজ্য নেতৃত্ব।
এদিকে রাজ্যে নেতৃত্বের আশ্বাসবাণীতে চিড়ে ভেজেনি। বনসাল যে ক্ষুব্দ সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন। রাজ্যে সদস্য সংগ্রহ দেখে বেজায় চটেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। ১৩ দিন কেটে যাওয়ার পর কেন মাত্র ১০ লক্ষ সদস্য সংগ্রহ করা হয়েছে, তার জবাব চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:দার্জিলিংয়ে পাহাড়ি চিতাশাবকদের কী নাম রাখলেন মমতা?
হাতে সময় আর ১৭ দিন। কি করে এক কোটি সদস্য করা যায়, তা নিয়ে দিল্লি থেকে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করতে এসেছেন ঋতুরাজ সিং। সারা দেশের সদস্য সংগ্রহ অভিযানের দায়িত্বে রয়েছেন কেন্দ্রীয় সম্পাদক ঋতুরাজ। তবে সদস্য সংখ্যার গতি নিয়ে খুশি হতে পারছে না, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কারণ এখনও অবধি বিভিন্ন জেলায় ১৭/১৮ হাজার মতো সদস্য সংগ্রহ হয়েছে। দার্জিলিং উত্তরবঙ্গে ৪৫ হাজারের মতো। ফলে চিন্তায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
বনসালযে রাজ্যে নেতৃত্বের উপর সন্তুষ্ট নন, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন। বানসাল একটি কঠোর সতর্কবাণী জানিয়েছিলেন তাঁদের দুর্বল পারফরম্যান্স ফলাফলের দিকে নিয়ে যাবে। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক ইঙ্গিত দিয়েছে, এই সদস্যপদ অভিযানের ফলাফল উপর সরাসরি ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য টিকিট পাওয়া নির্ভর করবে।
সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর অভিযানকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে বিজেপি।
দেখুন অন্য খবর: