নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বারবার যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত করার অভিযোগ তুলেছে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলো। অভিযোগ, এক দেশ এক নির্বাচন (One Nation One Election Bill) ব্যবস্থা চালু করতে চাওয়ার আড়ালে সেরকমই কোনও মনোভাব রয়েছে বিজেপি সরকারের। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, দেশে আর ভোটই হবে না। কেউ ভোট দিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না। তৈরি হবে স্বৈরাচারী সরকার। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো থাকবে না। তীব্র সমালোচনা করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেও। ইন্ডিয়া জোটের বিরোধিতা সত্ত্বেও নরেন্দ্র মোদির সরকার এক দেশ নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করতে চায়। সরকার ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ প্রকল্প চালু করতে প্রস্তুত। সেজন্য এই সংসদের চলতি অধিবেশনেই (Winter Session) এই সংক্রান্ত বিল পেশ করা হবে। আগামী ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত শীতকালীন অধিবেশন চলার কথা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ইতিমধ্যেই এক দেশ এক নির্বাচন সংক্রান্ত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ কমিটির রিপোর্ট অনুমোদন করেছে। তবে সরকার বিলটিতে ঐকমত্য গঠন করতে চায় বলে জানানো হবে। বিশদ আলোচনার জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি বা জেপিসিতে পাঠাতেও প্রস্তুত। সরকারের মনোভাব হচ্ছে, জেপিসি সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করবে। অন্যান্য অংশীদাররাও এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবেন। দেশের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে সব রাজ্যের স্পিকারদেরও ডাকা হতে পারে। সাধারণ মানুষের মতামতও নেওয়া হবে। সোমবার এমনটাই বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘এক জাতি, এক নির্বাচন’ প্রস্তাবের লক্ষ্য দেশের সমস্ত নির্বাচন এক দিনে বা একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সমন্বয় করা। যা বাস্তবে পরিণত হবে। আমরা এখন ‘এক দেশ এক নির্বাচন’-এর দিকে কাজ করছি। যা ভারতের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে। ভারতের সম্পদের সর্বোত্তম ফল দেবে এবং দেশ একটি উন্নত ভারতের স্বপ্ন অর্জনে নতুন গতি পাবে। উল্লেখ্য, এই অধিবেশনে ওয়াকফ সংশোধনী বিল ও এক দেশ এক নির্বাচন বিল পেশই সরকারের মূল লক্ষ্য ছিল। তা আগেই জানা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: খাওয়ার পর সিগারেট সুখটান না হলে চলে না, কেন? কী বলছে সমীক্ষা?
দেখুন অন্য খবর: