ওয়েব ডেস্ক: গত কয়েক বছরে বাংলায় দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে গণেশ পুজো (Ganesh Puja 2025)। একসময় যা মূলত মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) উৎসব হিসেবে পরিচিত ছিল, তা এখন কলকাতা সহ বাংলার নানা শহরে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষত শহুরে এলাকায় থিম-ভিত্তিক গণেশ পুজো ক্রমেই আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2025) আদলে সাজানো হচ্ছে চমকপ্রদ প্যান্ডেল, থাকছে আলোকসজ্জা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নানা সামাজিক কর্মসূচি। ফলে সাধারণ দর্শনার্থীদের আগ্রহও দিন দিন বাড়ছে।
শুধু ক্লাব বা পাড়া সংগঠন নয়, ব্যক্তিগত পর্যায়েও গণেশ পুজোর প্রচলন বেড়েছে। অনেক পরিবারই এখন নিজেদের বাড়িতে ছোট মূর্তি এনে পুজো করেন। নিয়ম অনুযায়ী ভক্তরা সকালে স্নান সেরে পরিষ্কার পোশাক পরে পূজায় বসেন। ভগবান গণেশকে নিবেদন করা হয় লাল ফুল, দূর্বা ঘাস, মোদক ও লাড্ডু। অনেকে আবার বিশেষভাবে বাড়িতে তৈরি মিষ্টি দিয়ে পুজো করে থাকেন।
আরও পড়ুন: LAC’ র কাছেই লাদাখের নায়োমা বিমানঘাঁটি, অক্টোবরে উদ্বোধন মোদির
পুজোর শেষে মূর্তির বিসর্জনের রীতি পালন করা হলেও, পরিবেশ সচেতন অনেক ভক্ত এখন মাটির বা পরিবেশবান্ধব মূর্তির দিকে ঝুঁকছেন। প্লাস্টার অব প্যারিস বা কৃত্রিম রঙের বদলে সহজে গলে যায় এমন মাটির মূর্তি, এমনকি বীজ মিশ্রিত মূর্তিও ব্যবহার করা হচ্ছে। যাতে বিসর্জনের পর মূর্তিটি মাটিতে মিশে গিয়ে গাছ হয়ে ওঠে।
সংগঠকদের মতে, গণেশ পুজো এখন আর শুধু ধর্মীয় আচার নয়, বরং মানুষের মিলনক্ষেত্র হয়ে উঠছে। অনেক ক্লাব দুর্গাপুজোর মতোই ‘সেরা প্যান্ডেল’ বা ‘সেরা প্রতিমা’র প্রতিযোগিতা আয়োজন করছে। শিশু ও যুব প্রজন্মের মধ্যে এই উৎসবকে ঘিরে উৎসাহও ক্রমশ বাড়ছে।
সব মিলিয়ে বাংলায় গণেশ পুজো এখন এক নতুন মাত্রা পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী দিনে এই উৎসব আরও বড় আকারে বিস্তার লাভ করবে।
দেখুন আরও খবর: