নয়াদিল্লি: ইয়েমেনের (Yemen) হুতি জঙ্গিরা (Houthi Rebels) লোহিত সাগরে (Red Sea) ভারতমুখী (India) ইজরায়েলি (Israel) নাগরিকের অংশীদারিত্বে থাকা একটি পণ্যবাহী জাহাজ ছিনতাই (Cargo Ship Hijacked) করে নিয়েছে। হুতিরা জানিয়েছে, প্য়ালেস্তাইনে (Palestine) ইজরায়েলের আগ্রাসনের জবাবে তারা এই জাহাজ আটক করেছে। ইজরায়েল বলেছে, এটি ইরানের (Iran) সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের অংশ।
রবিবার সকালের দিকে ইয়েমেনের নিকটবর্তী দক্ষিণ লোহিত সাগর থেকে দ্য গ্যালাক্সি লিডার নামের ওই জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। জাহাজটি ব্রিটিশ মালিকানাধীন। এটি পরিচালনা করে জাপান। এর মালিকানায় ইজরায়েলি এক ব্যবসায়ীর অংশীদারিত্ব রয়েছে। তুরস্ক থেকে ছেড়ে আসা জাহাজটি ভারতে আসার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: সপ্তাহের শেষে ১৫ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা, জেলা জুড়ে শীতের আমেজ
হুতি জঙ্গিদের মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে বলেন, তাঁরা জাহাজটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। এতে থাকা নাবিকদের যাবতীয় নিরাপত্তা তাঁরা দিচ্ছেন। ইয়াহিয়া আরও বলেন, প্যালেস্তাইনের গাজা ও পশ্চিম তীরে চলা আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ইজরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাব। ইজরায়েলের মালিকানাধীন জাহাজগুলোতে অন্য দেশের নাবিকদের কাজ না করার আহ্বানও জানানো হয় ওই বিবৃতিতে।
এদিকে, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহুর কার্যালয় ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই জাহাজের মালিকানা বা পরিচালনার সঙ্গে ইজরায়েলের কোনও সম্পর্ক নেই। এমনকী নাবিকদের মধ্যেও কোনো ইজরায়েলি নেই। জাহাজটিতে ২৫ জন নাবিক রয়েছেন, যাঁরা ইউক্রেন, মেক্সিকো, ফিলিপিন্স, বুলগেরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক। ইজরায়েলের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হুতিদের দ্বারা জাহাজ ছিনতাইয়ের পেছনে ইরানের হাত রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে যে ইরান বিশ্বে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে।
তবে ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জাহাজ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার এই ঘটনার সঙ্গে তেহরান কোনওভাবে জড়িত নয়। কোনও প্রমাণ ছাড়াই ইজরায়েল ঢালাওভাবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। অন্যদিকে, ব্রিটেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা জাহাজ আটকের বিষয়ে জানে। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছে।
অন্য খবর দেখুন