কলকাতা: জঙ্গলে জঙ্গলে হাজারো ক্যামেরা, ট্র্যাকিং ডিভাইস বসিয়েও আটকানো যাচ্ছে না বাঘের মৃত্যু। সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং সংসদে জানিয়েছেন, ২০২২-এর তুলনায় ২০২৩-এ দেশজুড়ে বাঘ মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ শতাংশ হারে। পরিসংখ্যান বলছে, গতবছর ১৮২টি বাঘ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দেশে, যেখানে ২০২২ সালে মৃত্যু হয়েছিল ১২১টি বাঘের। জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, তামিলনাড়ু এবং কেরালায় বাঘ মৃত্যুর ঘটনা সর্বোচ্চ। ২০২৩ সালে এই ৫ রাজ্যেই ৭৫ শতাংশ ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে, মহারাষ্ট্রে ৪৬টি, মধ্যপ্রদেশে ৪৩টি এবং উত্তরাখণ্ডে ২১টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: দূষণ নিয়ে দিল্লিতে এখনই নিয়ম শিথিল নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট
যদিও বাঘ সংরক্ষণে প্রত্যেকটি রাজ্যে বিপুল টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। বিশেষ করে মহারাষ্ট্রে ২০২২-এর তুলনায় গত বছর ৯ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধি হয়েছিল। আবার মধ্যপ্রদেশে বাঘ সংরক্ষণের স্বার্থে ২২৩ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধি হয়েছিল। অথচ এই দুই রাজ্য বাঘ মৃত্যুর তালিকায় প্রথম পাঁচে রয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, এত টাকা বরাদ্দ করেও বাঘ মৃত্যু আটকানো যাচ্ছে না কেন? এই প্রসঙ্গে এনসিবিএস-এর বিজ্ঞানি বিক্রম সিং ঝালা বলেছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাঘ মৃত্যুর আসল কারণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়না। কারণ চোরা শিকারিরা যখন বাঘ শিকার করে তখন বাঘের শরীর থেকে বিভিন্ন অঙ্গ কেটে নেওয়া হয়। সেই কারণে, অনেক সময় বাঘের মৃতদেহটুকুও পাওয়া যায়না। তবে তাঁর মতে, শিকারের পাশাপাশি অস্বাভাবিক কারণেও বাঘ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু কারণ যা’ই হোক না কেন, দেশে বাঘের মৃত্যু নিয়ে কেন্দ্রকে উদ্বিগ্ন হওয়া দরকার। নাহলে হয়তো একদিন জাতীয় পশু’ই বিলুপ্ত হয় যাবে ভারত থেকে।
দেখুন আরও খবর: